১৯৯৩ তেই মনে হয় শুরু হলো ঢাকায় ভালোবাসা দিবস। শুরু যদি নাও হয়ে থাকে অন্তত আমি তখনই প্রথম শুনি এই বস্তুর কথা। ভালোবাসার কথা আশৈশব জানি নাটক-সিনেমা ছায়াছন্দর কৃপায়। কিন্তু দিবস লাগিয়ে তার মহিমা শিফট করার বিষয়টি আমার কাছে সেবারই প্রথম। ১৯৯৩ তে আমি এসএসসি পাশ করা সগুম্ফ কিশোর। পড়ি তেজগাঁ কলেজে। মাথাভর্তি জটা পাকানো চুলের ফাঁকে ফার্মগেটের মৌলিক ধূলীকণার সাথে আরো গভীরে অধিষ্ঠাণ করেন পাথুরে আর ধাতব সঙ্গীতের কূশলীরা। তারই ফাঁকে ফাঁকে চলে রাস্তা পেরিয়ে প্রমীলা ম্লেচ্ছ মহাবিদ্যালয় ঘেঁষে ঝিঁঝিঁখেলার মাঠচারণের অনুশীলন। কিছুকাল পরে অনুশীলন বাদ দিয়ে বিজ্ঞান কলেজের জ্ঞানী বন্ধুদের সাথে পার্শ্ববর্তী সুরুচী হোটেলে চা-বিড়ি খাওয়ায় মন দিলাম। বন্ধু নেছার গেলো ফেঁসে। তার বাড়ি পাবনা। এমনিতে ভালো ভদ্রলোক। কিন্তু কিছু বিশেষ শব্দ তার বেশীরভাগ বাক্যকেই অলঙ্কৃত করে। তাঁকে একদিন সুরুচীর সিঙ্গারা আর চা-বিড়ি খাইয়ে ২ ঘন্টা ধরে বোঝানো হলো বাগযন্ত্রে ফিল্টার না বসালে তার আর মুক্তি নেই। তারাবাত্তি দেখিয়ে ইলোরা হারিয়ে যাবে সোলায়মানের ঘরে। অন্যদিকে মনের কথা যতদ্রুত সম্ভব বলে ফেলতে হবে নাইলে তার আছর পরীক্ষার উপরে পড়বে। এগুলো সবই ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর-জানুয়রীর কথা। ৯৩ সালের ফেব্রুয়ারীর শুরুতে শুনলাম ভালোবাসা দিবসের কথা। ১৪ ফেব্রুয়ারী পোলাপানের মধ্যে দেখি দারুণ উত্তেজনা। আমার তেমন উৎসাহ ছিলোনা। বাড়ি গিয়ে ঘুম দিলাম। পরদিন শুনি নেছারের বৈপ্লবিক কান্ড। কলেজে ঢোকার মুখে তিনি ইলোরাকে পথ আটকে বলেই ফেলেছেন, আমি বাড়া তোমাক ভালোবাসি....
Eastern DRC: Civilian victims of renewed tensions between government and
rebels
-
The city of Goma in the eastern Democratic Republic of the Congo has fallen
into the hands of M23 rebels. Civilians are the primary victims.
7 hours ago
No comments:
Post a Comment