Monday, November 05, 2007

টোপ দিলেই যে কেঁচো মাছ খেয়ে ফেলবে তার গ্যারান্টি কী? ১

১৯৯৯। নিবাস ছিল মীর মশাররফ হোসেন হলের ১০২/বি। মাথা ভর্তি নানারকম আজগুবি চিন্তাভাবনা। প্রাক্সিসে নানারকম প্রগতিশীলতার অভিনয়। কবিতা লেখারও। যা লিখতাম কবি-পাঠক প্রথম দর্শনে টাস্কি খাইতেন। প্রতিক্রিয়ায় বুঝতে পারতাম তাদের মতে ওগুলো ঠিক কবিতাও নয় গদ্যও নয় অন্য কোন কিছু। তো সেই অন্য কিছুর কপালে ছোট-বড় কোন কাগজেই জায়গা জুটতো না। এলোমেলো পড়ে থাকতো নিজের আর বিভিন্ন বন্ধুবান্ধবের খাতায়। খাতার পেছনের পাতায়। যারা সত্যিই ভালো লিখতেন তারাও একই কাজ করতেন। সেই ভরসাতেই অভিনয়ে স্বস্তি পেতাম।

ফারুক ওয়াসিফের সাথে সে সময় ঘুর ঘুর করতাম। সাধুসঙ্গে সিদ্ধিলাভের আশায়। লাভ হতো। তবে বেশী না। একবেলা ছ্যাঁচাঘুমেই আগের দিনের সিদ্ধি উবে যেত। পরদিন আবার ছুটতাম কলাভবন কিংবা ভাসানীতে। সিদ্ধিগুলো ধরে রাখতে পারলে অ্যাদ্দিনে বোধিসত্ব লাভ হতো।

সে যাক। সেই কল্কিও নাই, সেই তমাকও নাই। লেকে কচুরিপানার উত্তর প্রজন্ম। যে কথা বলতে লেখা শুরু করেছিলাম সেটাই ভুলতে শুরু করেছি। ক্রমশ শুরুর দিকেই সরে যাচ্ছি। ১৯৯৯এর মার্চের শুরুতে এক সকালে ফারুকের সাথে দেখা ক্যাফেটেরিয়ায়। চোখমুখ রীতিমতো উজ্জ্বল। বললো, বগুড়া যাচ্ছি। মাসখানেক পরে ফিরবো। খাতাটা টেনে নিয়ে দেখলাম পেছনের পাতায় বছর খানেক ধরে লিখতে থাকা দীর্ঘ কবিতা আরও কিছুদূর হিজিবিজি এগিয়েছে। ঠিক পাঠোদ্ধার করা গেলো না। উপসংহারে লিখে দিলাম গতরাতের সিদ্ধি :
টোপ দিলেই যে কেঁচো মাছ খেয়ে ফেলবে তার গ্যারান্টি কি?

ভদ্রলোক মাস দেড়েক পরে ক্যাম্পাসে ফিরে বললেন, ঠিকাছে।

No comments: