Sunday, March 13, 2011

ক্যাচ মি ইফ য়ূ ক্যান

ব্যাথাটা এবার ডান খাঁচার নিচে বেশ খানিকটা গভীর থেকে আসছে। আর ছোট ছোট একেকটা চুমুকে দেওয়াল থেকে বহুদূরে থাকা ড্রিল মেশিনের ঝিম্ প্রতিধ্বনি। কী-বোর্ডে আরো খানিক খুট খুট। তারপর আবার ব্যাকস্পেসে চাপ। রুশ দোকানে ভদকার ওফার ছিল। আধা লিটারের বোতল তিন ইউরো নিরানব্বই সেন্ট। এবার শীতের একেবারে শুরু থেকেই চলছে। স্টক শেষ হওয়া পর্যন্ত চলবে। নাতাশা, ইরিনা, গালিয়েভা, স্তানেভা, পুদোভকীনাদেরও এরকম অফার থাকলে হতো। ভদকার বিক্রি বাড়তো আরো খানিক। শুয়োরের বিক্রিও বাড়তো। বিশেষ করে কিমার। চমৎকার একটা মেশিন আছে ঐ দোকানে। এদিক থেকে থোকা থোকা মাংস ভরে দাও ওদিকে বড়ো একগাছা সুতলীর মতো কিমা বেরিয়ে আসবে। সোভিয়েত আমলের যন্ত্রটা অন্যরকম ছিল। একধারে হাতল ঘুরিয়ে পেষাই করতে হতো। বেশ শক্তির ব্যাপার। আবার চিলিক দিয়ে উঠলো বুকের মধ্যে। বারান্দায় গিয়ে গোটা চার/পাঁচ টান দিয়েই সোজা টয়লেটে গিয়ে বসে পড়তে হলো। সস্তা তামাকে অন্তত হাগাটা ভালো হয়। মাঝে নেশাটা একটু জমে উঠে কেমন ঘাম দিতে থাকে। হাত ধুয়ে মুখে পানিটানি দিয়ে ঘরে ফিরতে ফিরতে মিলিয়ে আসা ফ্ল্যাশের শব্দের সাথে শরিরটা ঝরঝরে লাগতে থাকে। ব্যাথাটাও নাই। দুটো সিগারেট বানিয়ে আবার বারান্দায়। ঘরে হিটার অন করা আছে। শীতের সময়টা পিসির সামনে বসে ফোঁকা হয়ে ওঠে না। পরশু বাসাটা ছেড়ে দিতে হবে। তিনমাসের ভাড়া বাকি। ঠাণ্ডা বাড়ছে। একটু আগেও মাইনাসের বাতাস বসন্তের মতো লাগছিলো। গলা শুকিয়ে আসছে। আধা লিটার বীয়ারের গ্লাসভরে ঢক ঢক করে লিটারখানেক পানি খাওয়া গেলো। এইচটুও। হাঁটুর নিচ থেকে পা কেমন ভারি লাগছে। পিসির স্ক্রীনে প্রচুর ধূলা। সিপিইউ’র খাঁজেও। য়ূথা বলেছিল একদিন পুরো ঘরটা কোনাকাঞ্চি মেরে সাফ করতে হবে। পুরো সাফসুতরো হলে একদিন ফ্লোরেই হবে। হয়েছিলো। ফ্লোরে ধূলাবালি আজকের থেকে খানিকটা কম ছিলো। শেষদিকে য়ূথাও কেমন গিধ্বর হয়ে উঠছিলো। সপ্তাহে দেড় সপ্তাহে একবার গোসল করতো। সাদা বা রূপালী ব্রায়ের ফিতায় গায়ের ছাতা স্পষ্ট দেখা যেতো। মাঝে মাঝে খিল খিল করে হেসে বলতো নিজদের দুর্গন্ধগুলি চিনে নিতে না পারলে মহব্বত থাকে না। ওয়ার্ডরোবে নিচের ড্রয়ারের মুখে মা কালীর মতো জিভ বের করে আছে যূথার প্যান্টি। কালো নেটের এই সেটটা গত জুনে ওর জন্মদিনের উপহার ছিলো। কালো অন্তর্বাসের আলাদা ইয়ে আছে। বিশেষ করে বক্ষবন্ধনীর। জার্মান ভাষায় বলে বুযেনহাণ্টার। আক্ষরিক অনুবাদ দাঁড়ায় বক্ষধারক। দর্শনেই পার্থক্য। ধরে রাখা আর বেঁধে ফেলা। নতুন বাসার কশান জোগাড় হয় নাই। এই বাসার বাকি ভাড়াটাও না। যূথার বর্তমান বন্ধু মালদার শুনেছে। কিন্তু কেউই ফোন ধরছে না কাল সন্ধ্যা থেকে। হয়তো অনেক দূরের কোন গ্রামে কোন ডুপ্লেক্স ভিলায় রাসোৎসব চলছে। কিংবা নেট ওয়ার্ক নেই। কিংবা ইচ্ছা করেই। য়ূথার পায়ে প্রায়ই ক্র্যাম্প হতো। বিশেষ করে ম্যারাখন ইনিংসগুলির শেষে। অনেক্ষণ মাসাজের পরে ঠিক হতো। কোঁৎ করে একটা ডাবল পেগ মেরে আরো দুইটা সিগারেট নিয়ে আবারো বারান্দায়। এবার কানটুপি মাথায়। তাপমাত্রা কম করে মাইনাস দুই তো হবেই। কোনটা কুয়াশা কোনটা তামাক পোড়া ধোঁয়া বোঝা মুস্কিল। রিং বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা করা গেলো বার দুয়েক। সেই কিশোর বয়স থেকেই চেষ্টা চলছে। হচ্ছে না। ১৯৯০ সালে তানিয়া বলেছিল বিড়ি খাওয়া পোলাগো লগে কথা কই না। তানিয়ার জামাই ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোতে চাকরি করে। ওদের সবমোট চারটা ইস্যু। তারমধ্যে একজোড়া জমজ। তানিয়ার বুক এখন কতো বড়ো হয়েছে? একাদশ শ্রেণীতেই একজোড়া ডাবের মতো ছিল। কোকোনাট উওম্যান। অনেকদিনপরে গলায় একটু সুর ভাঁজে। কোকোনাট উওম্যান ইজ কলিং আউট অ্যান্ড এভরি ডে য়ূ ক্যান হিয়ার হার শাউট। ছিপি খুলে বাকিটা গলায় ঢালা গেলো। হ্যারী বেলাফন্টের সাথে রাম হলে জমতো। বোতলে কতটা ছিল বোঝা যাচ্ছে না। আধা বোতল পার করার পরে পরিমাণটা ঠিক বোঝা যায় না। তিনমাসের ভাড়া বাকি। য়ুথা কোকোনাট উওম্যান হলে বেশ হতো। তাওয়ার তেল থেকে গোটা গোটা লার্ড তুলে খেতে খুব ভালো। গ্লাসের আর বোতলের তলানি মিলিয়ে আরো আধাপেগমতো হবে। পাশের ফ্ল্যাটে মিসেস ক্নাপের বুকটাও বেশ। এখন আর ঠাণ্ডা লাগছে না। কেমন মনে হচ্ছে বুক থাকলেই হেব্বি একটা ব্যাপার। ভালো লাগছে। একটু চেষ্টা করতেই সবাইকে বিকিনিতে দেখা যাচ্ছে। মিসেস ক্নাপ জার্মান সংসদে ব্রেস্ট ফিডিঙের উপর দুঘন্টা ধরে কী যেন বলছেন। সাংসদরা কোরাস ধরেছেন। মামা লুক আ বু বু দে শাউট দেয়ার মাদার টেল দেম শাট আপ ইওর মাউথ দ্যাট ইজ ইওর ড্যাডি ও নো মাই ড্যাডি ক্যান্ট বি আগলী সো। দশতলার বারান্দা থেকে শনিবার রাতের ব্যস্ততা ভালো লাগছে। আলোগুলি ছোট ছোট সরল রেখায় পিথাগোরাস থেকে ভাস্করাচার্যের চৌদ্দগুষ্টির মামাসীকে খুব করে ভালোবাসছে। পিথাগোরাসের উপপাদ্যের মাথায় বিছানা পেতে কোন মুণ্ডহীনা বিষন্ন বসে আছে। ক্লাস সিক্সে থাকতে পাকনা মাসুম বলেছিল মাই দেখে মাগী চেনা যায়। কিন্তু মুণ্ডহীনা ঘটোধ্নীর বিষন্নতা কাটাতেই হবে। তিনমাসের ভাড়াও জোগাড় হয়ে যাবে। বারান্দার কার্নিশ থেকে আর এই কিছুটা সামনে ........

No comments: