Sunday, July 02, 2017

দশ বছর

দশ বছর। বয়স বাড়ছে। দশকগুলি ছোট হচ্ছে। একেবারে আক্ষরিক অর্থেই সেদিনকার কথা। কয়েকজন বন্ধু ব্লগার/ব্লগার বন্ধু ব্লগিঙের নেশায় সচলায়তন বানিয়ে ফেলল। অনেক অদেখা মানুষ বন্ধু হলো। অনেক পুরনো বন্ধু দূরে সরে গেল। ব্লগিঙের গতি বাড়লো কমলো সবই হলো। সব মিলে শেষ কথায় এসে সচলায়তন দশ বছর পার করে দিলো।
কোন কিছুই কোন কালে আগের মতো হয় না। হওয়া সম্পূর্ণ অসম্ভব। কিন্তু পরের কথা তৈরির বর্তমান অবিনশ্বর। বর্তমান এবং ভবিষ‌্যত সচলদের কাছে সচলায়তন সেই বর্তমান। লেখা একদিন হবে তো তিন দিন হবে না। কখনো টানা পাঁচদিন হবে তো পাঁচ মাস বা বছরও ঘুরে যেতে পারে। তাতে লেখক মরে না। পরবর্তী লেখক আর লেখার জন্ম হতে থাকে। হতে থাকবে। উৎপাদন এবং পুনরুৎপাদন ইতিহাসের একমাত্র চালিকা শক্তি।
কয়েকজন বন্ধু লিখতে চেয়েছিল। ইচ্ছেমত লিখতে চেয়েছিল। ইচ্ছেটাকে বাস্তবরূপ দিতে লেখার জায়গাটাও বানিয়েছিল, যাতে লিখতে চাওয়া আরো অনেক আঙ্গুলের সন্ধান পাওয়া যায়। পাওয়া গেছে, যাচ্ছে।
সময়ের চলমান যুদ্ধগুলি লিখতে চাইলেই আঙ্গুলে চলে আসে। ব‌্যাপারটা এমন না যে, লিখতে লিখতে কোথাও একটা গন্তব‌্য পেয়ে লেখা বাদ দিয়ে মোক্ষলোকে অন্তর্হিত হওয়া যাবে। মোক্ষ মিলবে না অথবা লিখতে থাকাই মোক্ষ। দশ বছর পেরিয়ে এইটুকুই সচলের বোধিস্বত্ত্ব।
আমরা যারা আগে অনেক লিখতাম এখন লিখি না বা কম লিখি, তাদের না লেখা বা কম লেখার দায় পুরোপুরি ব‌্যক্তিগত। উদ্ভূত পরিস্থিতির দোহাই অপ্রাসঙ্গিক। লিখে মুক্তি আছে না নাই, সেই কথা না লিখলে বা না লিখতে থাকলে কোনদিনও জানা হবে না। যে লিখবে না সে বিস্মৃত হবেই।
লেখার খাতাটা বেঁচে আছে। শুধু আঙ্গুলের জাড্য ছাড়ুন।
জয় সচলায়তন !

No comments: