বাংলা ব্লগ জগতের বয়স বাড়ছে। এলাকাও বড় হচ্ছে। লেখক-পাঠকদের একটা সীমাবদ্ধতা থেকেই যাচ্ছে, থাকবেও। অন্তর্জালে ঘোরাফেরা করেন না যারা তারা এর বাইরেই থেকে যাবেন শেষপর্যন্ত। ব্লগের লেখা থেকে সংকলন প্রকাশিত হচ্ছে। ছাপা মাধ্যমে গিয়ে ব্লগের কিছু নির্বাচিত লেখা অফলাইন পাঠকের নাগালেও যাচ্ছে। কিন্তু সেগুলো শেষ পর্যন্ত ছাপামাধ্যমের নিয়মিত লেখার তালিকাভুক্ত হয়ে যাচ্ছে। ছাপা হয়ে আসা কাগজ সময়ের সাথে পুরনো হয়ে ঝুর ঝুর ঝরে গেলেও ছাপা হওয়া লেখার সারবস্তু কাগজে এঁটে থাকছে, অক্ষর সমাবেশ বদলে যাচ্ছে না। ব্লগের লেখা কিন্তু নিজেকে প্রতিমুহুর্তে বদলে নিচ্ছে। নবাগত ব্লগারের নিয়মিত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে পুরনো ব্লগারকে। মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য কখনো আংশিক কখনো পুরো লেখাকেই বদলে দিচ্ছে। এই গতি ছাপামাধ্যমে অনুপস্থিত। ইউরোপে এসে দেখলাম বেশীরভাগ খবরের কাগজের অন্তর্জাল প্রকাশনায় পাঠকের সরাসরি মন্তব্য করার জায়গা। ছাপামাধ্যমে প্রকাশিত কাগজেও পাঠকের জন্য সম্পাদক মহাশয় খানিক জায়গা ছেড়ে থাকেন। কিন্তু তাতে শতসহস্র মন্তব্যের তোড়ে বেশীরভাগই হারিয়ে যায়। যেগুলি ছাপাখানার মুখ দেখে তাতে কমপক্ষে সপ্তাহখানেক কখনো মাসও পেরিয়ে যায়। অন্তর্জালের মন্তব্যকেও ভার্চুয়াল কাঁচির মুখে পড়তে হয় বটে। তবে সেটা কদাচিৎ। বেশিরভাগ কথাই সরাসরি চলে যায় লেখার প্রতিক্রিয়াতে। তাতে মূল লেখায় আলাদা মাত্রা চলে আসে। তারপরেও সেখানে যতটুকু রাখঢাক যতটুকু কুলীন-অকুলীনের বিচার থাকে, ব্লগিং প্লাটফর্মে তা কমতে কমতে শুন্যে না এলেও অনেকটা শুন্যের কাছাকাছি চলে আসে।
নতুন মাধ্যম মাত্রেই কোন না কোনভাবে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতাকে ধারণ করে। সেখানে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠাণে প্রকাশ করতে না পারা কথাগুলি সামনে আসে। ব্যাপারটা অবশ্যই সরলরৈখিক নয়, কারণ যে কোন রেকর্ডকৃত তথ্যই কোন না কোন পাটাতনের উপর অধিষ্ঠাণ করে। এই প্রক্রিয়ায় সেই পাটাতনকে নানাছাঁচের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে পাটাতন হিসেবে অস্তিত্ব জানান দিতে হয়। সেদিক থেকে সর্বৈব প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার ধারণাকে যুক্তিসিদ্ধ করা প্রায় অসম্ভব। নির্দিষ্ট কাঠামোর যৌক্তিকতাকে বাতিল করতে যে কারণে প্রস্তাবিত কাঠামোর তথ্যসমাবেশের সুলুক খুঁজতে হয় সে কারণেই অসম্ভব। তাই অনপেক্ষ প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার বদলে প্রতিষ্ঠানের চলমান সমালোচনাকে দেখা যায় কোন নির্দিষ্ট সময়ের বিকল্প পাটতনে। ছোটকাগজ এসেছিল যে ধরণের পাটাতন হিসেবে। প্রতিষ্ঠিত পত্রিকার প্রতিষ্ঠিত লেখককূলের উন্নতনাসিকাক্রান্ত কাঁচি যেখানে সময়ের নতুন স্বরগুলি ধারণ করতে অক্ষম থেকেছে, ছোটকাগজ সেখানে সেই দায় নিয়েছে। কোন কাগজে গোষ্ঠীকেন্দ্রিকতা দেখা দিলে নতুন কাগজ জন্মেছে। এখনো জন্ম নিচ্ছে প্রতিদিন।
অন্তর্জালের ব্লগিং পাটাতনগুলি ছোটকাগজের চৈতন্যকে আরো বেশী করে ধারণ করে। পাঠকের তীব্র মন্তব্য,সমালোচনা, উপহাসের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে এখানে প্রায়ই ছাপামাধ্যমের মোহরাঙ্কিত প্রথিতযশা লেখককে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। এদের অনেকে অভিমান করে চলে যান, অনেকে প্রকাশ্যে বিষোদগারও করে থাকেন, অভিশাপও দেন। কিন্তু এদের বাইরে উঠে আসছেন আরো একঝাঁক লেখক যারা এই ভার্চুয়াল আক্রমণ মোকাবিলা থেকেই নিজেদের লেখাকে গড়েপিটে নিচ্ছেন। অন্যমাধ্যমে যা প্রান্তিক নতুন পাটাতনে প্রান্তকে বিস্তৃত করছে শেষ কথা বলে দেবার মুখে ছাই দিয়ে।
নতুন মাধ্যম মাত্রেই কোন না কোনভাবে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতাকে ধারণ করে। সেখানে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠাণে প্রকাশ করতে না পারা কথাগুলি সামনে আসে। ব্যাপারটা অবশ্যই সরলরৈখিক নয়, কারণ যে কোন রেকর্ডকৃত তথ্যই কোন না কোন পাটাতনের উপর অধিষ্ঠাণ করে। এই প্রক্রিয়ায় সেই পাটাতনকে নানাছাঁচের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে পাটাতন হিসেবে অস্তিত্ব জানান দিতে হয়। সেদিক থেকে সর্বৈব প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার ধারণাকে যুক্তিসিদ্ধ করা প্রায় অসম্ভব। নির্দিষ্ট কাঠামোর যৌক্তিকতাকে বাতিল করতে যে কারণে প্রস্তাবিত কাঠামোর তথ্যসমাবেশের সুলুক খুঁজতে হয় সে কারণেই অসম্ভব। তাই অনপেক্ষ প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার বদলে প্রতিষ্ঠানের চলমান সমালোচনাকে দেখা যায় কোন নির্দিষ্ট সময়ের বিকল্প পাটতনে। ছোটকাগজ এসেছিল যে ধরণের পাটাতন হিসেবে। প্রতিষ্ঠিত পত্রিকার প্রতিষ্ঠিত লেখককূলের উন্নতনাসিকাক্রান্ত কাঁচি যেখানে সময়ের নতুন স্বরগুলি ধারণ করতে অক্ষম থেকেছে, ছোটকাগজ সেখানে সেই দায় নিয়েছে। কোন কাগজে গোষ্ঠীকেন্দ্রিকতা দেখা দিলে নতুন কাগজ জন্মেছে। এখনো জন্ম নিচ্ছে প্রতিদিন।
অন্তর্জালের ব্লগিং পাটাতনগুলি ছোটকাগজের চৈতন্যকে আরো বেশী করে ধারণ করে। পাঠকের তীব্র মন্তব্য,সমালোচনা, উপহাসের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে এখানে প্রায়ই ছাপামাধ্যমের মোহরাঙ্কিত প্রথিতযশা লেখককে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। এদের অনেকে অভিমান করে চলে যান, অনেকে প্রকাশ্যে বিষোদগারও করে থাকেন, অভিশাপও দেন। কিন্তু এদের বাইরে উঠে আসছেন আরো একঝাঁক লেখক যারা এই ভার্চুয়াল আক্রমণ মোকাবিলা থেকেই নিজেদের লেখাকে গড়েপিটে নিচ্ছেন। অন্যমাধ্যমে যা প্রান্তিক নতুন পাটাতনে প্রান্তকে বিস্তৃত করছে শেষ কথা বলে দেবার মুখে ছাই দিয়ে।
No comments:
Post a Comment