একটা বিষয় দিন দুই ধরে মাথায় ঘুরছে। ট্রেড ইউনিয়ন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আর প্রচার মাধ্যম তিনটি স্থানই কোন না কোনভাবে কর্পোরেট কাঠামোতে ঢুকে আছে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাবার পর থেকেই। অর্থাৎ এই জায়গাগুলোকে প্রতিষ্ঠাণ সুবিধামতো ব্যবহার করতে পারবে এদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেই। বিশেষত প্রচার মাধ্যমের শীর্ষব্যক্তিদের বিভিন্নভাবে হাতে রেখে সমালোচনা আর বিরোধীতার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ইংরেজ বিদায়ের পরে আইয়ুবের আমল থেকে চলে এসেছে। কিছু লোককে হাতে রাখা বাকিদের পিটিয়ে ঠান্ডা করা। কর্পোরেটিজমের এই মডেল ১৯৭২-৭৫ এ শেখ মুজিব সরকারও অনুসরণ করেছে। এরপর ১৯৯০ পর্যন্ত সামরিক সরকার। ১৯৯০ এর পরে এই মডেলে পরবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দেয়। মিডিয়া রীতিমতো ব্যুম করে। নির্বাচিত সরকার ভোটের প্রচারকার্যে একটা নতুন মাত্রা পেয়ে যায়। সেক্ষেত্রে প্রকাশ্য সমালোচনাকে হালাল বলে মানতে তারা বাধ্য ছিলেন।
২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সংসদীয় গণতন্ত্র চলছিল। পুরোপুরি কার্যকর না হলেও অন্তত প্রতি ৫ বছরে ঘুরে ঘুরে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় বসছিল। অর্থাৎ টানা প্রায় ১৬ বছর যাবৎ জনগণ প্রকাশ্য সমালোচনায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সামলোচনাকে নিজের অধিকার বলে জেনে এসেছে। এই সময় সংবাদ মাধ্যমের শীর্ষব্যক্তিদের হাত করা আসলে আর রাষ্ট্রের খবরদারী প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট নয়, কারণ এর দেহটা ইতিমধ্যেই চট করে খামচে দেবার আকৃতি ছাড়িয়ে গেছে।
মতপ্রকাশের অধিকারে হস্তক্ষেপ দুটো প্রান্তিক অবস্থান সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে কোন একটাকে পা হড়কে খাদে পড়তে হবে। সংবাদ মাধ্যম দীর্ঘদিন সুতার উপর হেটে অভ্যস্ত। প্রশ্ন হচ্ছে অন্যপ্রান্ত কি নিজের ভবিষ্যত বুঝতে পারছে?
২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সংসদীয় গণতন্ত্র চলছিল। পুরোপুরি কার্যকর না হলেও অন্তত প্রতি ৫ বছরে ঘুরে ঘুরে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় বসছিল। অর্থাৎ টানা প্রায় ১৬ বছর যাবৎ জনগণ প্রকাশ্য সমালোচনায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সামলোচনাকে নিজের অধিকার বলে জেনে এসেছে। এই সময় সংবাদ মাধ্যমের শীর্ষব্যক্তিদের হাত করা আসলে আর রাষ্ট্রের খবরদারী প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট নয়, কারণ এর দেহটা ইতিমধ্যেই চট করে খামচে দেবার আকৃতি ছাড়িয়ে গেছে।
মতপ্রকাশের অধিকারে হস্তক্ষেপ দুটো প্রান্তিক অবস্থান সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে কোন একটাকে পা হড়কে খাদে পড়তে হবে। সংবাদ মাধ্যম দীর্ঘদিন সুতার উপর হেটে অভ্যস্ত। প্রশ্ন হচ্ছে অন্যপ্রান্ত কি নিজের ভবিষ্যত বুঝতে পারছে?
No comments:
Post a Comment