Monday, May 05, 2008

গুরুর পদে প্রেমভক্তি হলো না মোর হবার কালে


৫ মে। খুব সাধারণ আর দশটা দিনের মতে আরেকটা দিন। প্রতিটা দিনই কারো না কারো জন্ম। আর মধ্যে দুয়েকটা জন্ম মানব সমাজের শেকড় ধরে নাড়া দেয়। তাতে অনেক কিছু বদলায় ; অনেক কিছুই বদলায় না। অনেক কিছু মানে কতকিছু তার সবটা একবারে জানা গেলে উমাচরণ কর্মকারের দাড়িপাল্লা নিয়ে মাপামাপি করা যেতো। পুরোটা জানার কায়দা জানা সম্ভব শুধু সুনির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের গায়েবের খেদমতগার হলে। যা বুঝলাম এতদিনে, গায়েবটায়েব নাই। সেক্ষেত্রে "কী কী আছে আর তা দিয়ে কেমনে কী"র বাইরের প্রশ্নগুলি নানারকম বাটপারি বলেই জানি। তাইলে প্রত্যেক মুহুর্তেই সেই মুহুর্ত পর্যন্ত'র বস্তুগত বিশ্লেষণ আর সেই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বস্তুসমাবেশের বিন্যাস সমাবেশই প্রতিটা পরবর্তী প্রয়োগ। মুহুর্তের সাথে সাথে মুহুর্তগুলিতে মোট বস্তুগত তথ্যের সাথে কমপক্ষে একটা নতুন তথ্য যোগ হয়ে চলেছে। অর্থাৎ মুহুর্তগুলি আর তার সাথে সাথে প্রত্যেকটা পরবর্তী প্রয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে দৌড়ের উপর থাকছে। এই প্রক্রিয়ার সতর্ক পাঠ থেকে সিদ্ধান্তে আসা যায়, বস্তুজগত ব্যাপারটাই দৌড়ের উপর। যাহা দৌড়ের উপর নাই তাহা [b]অবস্তু[/b] ; অর্থাö তাহা নাই; কারণ বস্তজগতের বাইরের কোন কিছু যেইখানে থাকার কথা সেই "খান"ই নাই।

সুতরাং আছে বস্তু, লৈইয়া বিচার। কী বস্তু আছে? নানারকম বস্তু আছে। যেগুলা নিরবে বাড়ে নিরবে মরে কিংবা সরবে বাড়ে সরবে মরে তার সবই নানারকম জৈবযৌগ। আসলে মরা কিংবা বাড়া না যা ঘটে তার সবই নানারকম পরিবর্তন। তারমধ্যে যেগুলার কম্পোজিশান লড়েচড়ে সেগুলা প্রাণী। প্রাণী আবার বহুৎ রকম। তার মধ্যে পৃথিবীর অধিবাসীগুলির মধ্যে একরকম দুই ঠ্যাংওয়ালা আছে। তাহাদিগকে জীববিজ্ঞানে হোমোসেপিয়েন বলে। তারা আবার নানারকম ধুমধারাক্কা পার হইয়া কেমনে কেমনে জানি একেকটা সমাজ বানাইয়া একসাথে থাকে। তাদের মধ্যে আবার বস্তুজগতের অন্যকিছু মালসামানের মালিকানা নিয়া কাইজ্যা। সেইখানে কেউ কেউ সম্পদের সমুদ্রে ডুব সাঁতার দেয় আবার আর বিলিয়নগুণ মানুষ শুধু না খাইতে পাইয়া মরে। এই সম্পদ দখলের আর সর্বহারা খতমের খুঁটিনাটি সেই সাথে কোন রাস্তায় সর্বহারারা এই পেজগী থেকে বের হতে পারেন সেই নিয়া হাজার হাজার বছর ধরে অনেক লোকে ভাবছে। এখনো ভাবতেছে। মানুষের মস্তিস্কের মোট ধারণক্ষমতার জায়গা থিকা যারা সবচাইতে বেশী ভাবছে তাঁদেরই একজন ১৮১৮ সালের ৫ই মে প্রুশিয় সাম্রাজ্যের ট্রিয়ার প্রদেশে জন্মানো কার্ল মার্কস।

তাঁকে ষাষ্টাঙ্গ প্রণাম।

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

No comments: