Thursday, January 05, 2012

ডিটেকটিভনামা


গোয়েন্দা গল্প দিয়ে বইপড়া শুরু হওয়া অন্তত আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন পর্যন্ত একটা নিয়মিত ঘটনা ছিল। গত দেড়দুই দশকে মিডিয়াবাজারের বিবর্তন অনেক কিছুকে পাল্টে দিয়েছে। তাই হয়তো এখন আর গোয়েন্দা গল্পকে মোটাদাগে নিয়মিত ঘটনা বলা নাও যেতে পারে। তবে বাজারে, মানে বইয়ের বাজারে তারা আছেন এখনো বহাল তবিয়তে। সিনেমার বাজারেও। গোয়েন্দা সিনেমা বাংলাদেশে সেভাবে হয় না। সেই সত্তর দশকের শুরুতে মাসুদ রানা, দস্যু বনহুর, কুয়াশা হয়েছিল। তারপর ফুলস্টপ। পশ্চিমবঙ্গে ফেলুদা হচ্ছে নিয়মিত বিরতিতে। কিছু কাকাবাবু হয়েছে। মাঝেমাঝে দুএকটা ব্যোমকেশও হচ্ছে। অর্থাৎ বাজারে গোয়েন্দা গল্পের চাহিদা আছে। পরিসংখ্যানে গ্রাহ্য হবার মতো সংখ্যায় কিছু ক্রেতা গোয়েন্দা গল্প পড়েন এবং গোয়েন্দা গল্প থেকে বানানো সিনেমা দেখেন।
সমস্যা হলো এই চাহিদাগুলি পুরণ করছে গত সত্তরআশি বছরের কালোত্তীর্ণ লেখাগুলি। নতুন গল্প আর আসছে না। তাই ফেলুদার হাতে মোবাইল উঠছে, তাকে সাঁইবাবার ক্যাফেতে যেতে হচ্ছে, জটায়ূ অ্যাম্বাস্যাডারের বদলে টয়োটা/মারুতিতে চড়ছেন, বিশেষভাবে বাজে অভিনয় করা লাল্টু মার্কা পোলাপান তোপসে হচ্ছে। সত্তর দশকের ফেলুদাতোপসেজটায়ূদের এসব করতে হচ্ছে আমার মতে বাঙ্গালী গোয়েন্দার নতুন কোন ব্র্যাণ্ড তৈরী না হওয়ায়। অন্যদিকে অপরাধ জগত থেমে থাকছে না। আজকের বাস্তব ভিলেনদের কাছে মগনলাল মেঘরাজরা রীতিমতো ভ্রান্ত ধারণা। প্রতিদিনকার ক্রাইম রিপোর্টগুলিতে গোয়েন্দা গল্পের প্লট কিলবিল করছে। কিন্তু নতুন করে আর কেউ লিখছে না।
এইসব বলার সমস্যা হচ্ছে তখন লোকে ফট্ করে বলে বসে, তা তুমিই কেন লিখছো না বাওয়া? ‌এর কিছু জবাব হতে পারে এইমানে আমার লেখার হাতটা ঠিক ইয়ে না কিম্বা টাইম নাই কিম্বা এখন এগুলা কেউ খাইবো না কিম্বা আমাকেই কেন লিখতে হবে ইত্যাদি। এই অবস্থায় যদি কেউ সাতপাঁচ ভেবে রাজিও হয়ে যায় তখন অন্য কতগুলি প্রশ্ন সামনে আসে, যে ঠিকাছে আমি লিখবো কিন্তু বাংলাদেশে কি প্রাইভেট ডিটেকটিভ বস্তুটার কোন বাস্তব উদাহরণ আছে? একটা লোক ফট্ করে প্রাইভেট ডিটেকটিভ বলে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে ফেলতে পারলেও প্র্যাক্টিসের লাইসেন্স পায় কী না সেই বিষয়ক আইনকানুন অস্পষ্ট। রাষ্ট্রের বেতনভুক গোয়েন্দারা যেসব রহস্যের সমাধান করছেন তার খুব বেশী ডিটেলস জনগণ জানতে পারছেন না। সেখানে আমলাতন্ত্র আর চলমান রাজনীতির দৌরাত্ম্য ছাপিয়ে নতুন করে কোন ফেলুদাটেলুদা হালে পানি পাবে না বা পাওয়ানো মুশ্কিল। এই সমস্যাগুলি ফেলুদা-ব্যোমকেশদের আমলে ছিল না এমন না। কিন্তু শরদিন্দু বা সত্যজিত রায়রা সৃষ্টিশীল লেখনীতে সেগুলি ম্যানেজ করেছেন। এখন পরিস্থিতি এমন যে, যেই উড়ে মালি এইসব মুস্কিল আসান করতে যাবেন ঠিকঠাক মতো, তার প্রাণসঙ্কটের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এইসব আবোলতাবোল ভাবছিলাম মনিটরের সামনে বসে বসে। আটমাস ধরে সচলে নো এন্ট্রি। ক্রিসমাসের ছুটি ফুরাতে চলল। কোন কাজে সেভাবে মন বসছে না। সপ্তাহ দেড়েক টানা দেখলাম সব কয়টা ফেলুদা আর ব্যোমকেশ। মাথায় একেকটা গল্পাংশের সম্ভাবনা ফাল দিয়ে উঠেই ফ্লোরে আছড়ে পড়ে অক্কা পাচ্ছে। রহস্য টহস্য সব ঠিকাছে। কিন্তু যেই বেকুব আজকের ফেলুদা হবে তাকেই খুঁজে পাচ্ছি না। যেই বেকুব ডিবি অফিসের পানির ট্যাঙ্কে ডিবির সোর্সের লাশের রহস্যের কিনারা করবে, হালের গুপ্তহত্যাকারীদের মুখোশ খুলবে, গতকাল ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালের সেই শিশু হত‌্যাকারীকে খুঁজে বার করবে।

1 comment:

hedaet said...

www.hedaet.com -বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও তথ্য ভাণ্ডার
১. ফোরাম: আপনি যে কোন লিখা বা বিজ্ঞপ্তি (পাত্র-পাত্রী, বন্ধুত্ব, চাকুরী, কাজ চাই, নিউজ, খেলা-ধুলা, বাড়ী-ভাড়া)প্রকাশ করতে পারবেন ফ্রিভাবে।
২. কমেন্ট শো: www.hedaet.com-সাইটের হোম পেজেই কোন মন্তব্য লিখলে তাৎণিক দেখা যায়।
৩. লিঙ্ক ডিরেক্টরী: ষাট ক্যাটাগরীতে প্রায় ২০০০০ (বিশ হাজার) ওয়েব সাইটের ঠিকানা পাবেন।
৪. Translate / অনুবাদ: আপনি সেকেণ্ডের মধ্যে প্রতি পৃষ্ঠা ইংরেজী/আরবী থেকে বাংলা বা যেকোন ভাষায় অনুবাদ করতে পারবেন।
৫. সার্চ বক্স: গুগল, ইয়াহুর মতো রয়েছে আমাদের সার্চ বক্স। বিশ্বের যা কিছু খুজতে চান, সেকেণ্ডের মধ্যে খুজে পাবেন।
৬. ফেসবুক: এ সাইট থেকেই ফেসবুকের লাইক বাটন ইউজ করতে পারবেন।
৭. অনলাইনে আয়: আনলাইনে আয় আমাদের ফোরামে ধারাবাহিকভাবে জানতে পারবেন।
৮. আপনার ওয়েব সাইট ফ্রি যোগ করা: আমাদের ডিরেক্টরীতে আপনার পছন্দ য়ে কোন ওয়েব সাইট যোগ করতে পারবেন ফ্রি ভাবে।
৯. আমাদের হোম পেজেই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন।
১০. আগামী দশ দিনের আবহাওয়ার তথ্য জানতে পারবেন।
১১. অন্যান্য: হেদায়েত ডট কম সাইটে ফ্রি ম্যাসেজ, ফ্রি ফ্যাক্স পাঠানো, লাইফ স্পোর্টস ও মুভি দেখার লিঙ্ক সুবিধা পাবেন। আমাদের ফোরাম পড়ে জানতে পারবেন, কোথায় নতুন প্রযুক্তির কৃষিযন্ত্র পাওয়া যায়, বিনা পয়সায় ইন্টারনেটের গতি কি করে বাড়াবেন, ইন্টারনেটে বাংলা কি করে লিখবেন, মোবাইলে বাংলা লিখা দেখার নিয়ম, বাংলাদেশে কোথায়-কোথায় কর্মসংস্থানমূলক ট্রেনিং; দেয়া হয়, তার ঠিকানা; বাংলাদেশের সকল পোষ্ট কোড নম্বর; র‌্যাব-পুৃিলশ, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসের জরুরী কয়েক হাজার টেলিফোন নম্বর; স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক জরুরী কথা, বাংলাদেশের কোথায়-কোথায় ফ্রি সেবা দেয় তার ঠিকানা, কম্পিউটার ও সফটওয়ার বিষয়ক জরুরী বিষয়গুলো; বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির খবর, গুণীজনদের জীবনী; কিভাবে ওয়েব সাইট খুলতে হয়; ঢাকার ভিখারুন্নেছা নুন স্কুল ও রাজশাহীর সাফল্য কোচিংয়ের প্রথম শ্রেণী ভর্ত্তি গাইড ফ্রিভাবে পড়তে পারবেন, এমন দেশী-বিদেশী বহু তথ্য পাবেন সম্পূর্ণ ফ্রিভাবে। আমাদের সাইটের মাধ্যমে ইমেইল একাউন্ট অচিরেই খুলতে পারবেন। অনলাইন লাইফ টিভি চ্যানেল খোলার প্রচেষ্টাও রয়েছে। প্রতিদিন আমাদের সাথে থাকুন, মতামত দিন কমেন্ট বক্সে, www.hedaet.com -এর ফোরাম পড়লে আপনার জীবনের জরুরী বিষয়গুলো জানতে পারবেন।
১২. এস.ই.ও.- যেকোন ওয়েব সাইট প্রচারের জন্য আমাদের রয়েছে, ২০০০ ডু ফলো লিঙ্ক, ২০০০ ডিরেক্টরী, ২০০০ ফোরাম এর লিঙ্ক।