শ্রদ্ধেয় প্রফেসর ড. ইউনুস জনগণের প্রতি খোলা চিঠি দিয়েছেন, তাঁর রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এবং নিজস্ব দলগঠণ প্রসঙ্গে। উদ্যোগটি নি:সন্দেহে অভিনব। চিঠি প্রকাশিত হবার সাথে সাথে জনগণের মধ্যে ব্যপক সাড়াও পাওয়া গেছে গত ২৪ ঘন্টায়। যে পরিমাণ চিঠি এবং ই-মেইল তিনি পাবেন তার সবগুলো পড়ে উঠতে তাঁকে কিছুটা সময় দিতেই হবে বলে মনে হয়। আশা করি সময় নিয়ে হলেও চিঠিগুলি তিনি পড়বেন। প্রি-ডিসাইসিভ অবস্থান থেকে পরামর্শ করতে চাইলে তাঁর এই অভিনব উদ্যোগ নির্রথক থেকে যাবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে প্রতিটি নাগরিকের রাজনৈতিক দল গঠণের অধিকার রয়েছে। সুতরাং রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বা নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠণের ঔচিত্য বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। তিনি সুপন্ডিত এবং বিচক্ষণ ব্যক্তি। বহুদিন থেকেই তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে আছেন। দেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক কলকব্জার সঙ্গে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেবারও কিছু নেই। আমরা পারি তাঁকে প্রশ্ন করতে, তাঁর ছাত্রের অবস্থান থেকে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো পঙ্গু না অবিকশিত না বিকাশরহিত এ বিষয়ে র্তক থাকলেও কাঠামোগত দূর্বলতার প্রশ্নে মোটামুটি ডান-বাম সকলে একমত। র্বতমান রাজনৈতিক শ্রেণী উঠে এসেছে এই দূর্বলতার বেনিফিসিয়ারি হিসেবে এবং সেই কারণে তারা প্রাতিষ্ঠাণিক দুর্নীতিকে আজকের টোট্যালিটির জায়গায় নিয়ে এসেছে। গণবিরোধী অবস্থান পরিত্যাগ এই রাজনৈতিক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর জন্য রাজনৈতিক আত্মহত্যার শামিল হবে। অর্থাৎ গণমুখী অবস্থান নিতে গেলে জৈবিক নিয়মে বর্তমান রাজনৈতিক শ্রেণীর বিরোধীতা করতে হবে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে তিনি ঠিক কি উপাদান দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক দল গড়ে তুলতে চান? যদি তিনি বর্তমান রাজনৈতিক শ্রেণীর বিন্যাস সমাবেশ থেকে নতুন দল তৈরী করতে চান তাহলে বলবো মহৎ মেনিফেস্টেশান থাকলেও তাঁর কাছ থেকে আমরা নতুন কিছু পাচ্ছি না। আবার র্বতমান রাজনৈতিক শ্রেণীকে যদি তিনি বাদ দিতে চান তখন প্রশ্ন আসে কারা থাকছেন এই দলে? সিভিল সোসাইটির কথা বললে জটিলতা আরো বাড়বে কারণ সিভিল সোসাইটি নির্ধারণের মানদন্ড আদৌ নির্ধারণ করা যায় কিনা তা আমরা সম্ভবত: এখনো জানিনা। তিনি বলছেন আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গেলে, মানে অংশ নিয়ে কার্যকর ভোট পেতে গেলে তাঁকে বর্তমান রাজনৈতিক শ্রেণীর সহায়তা নিতেই হবে। অথবা গণফোরামের পরিণতি অর্থাৎ একটি মহতি উদ্যোগের অকাল মৃত্যু।
আমি অবশ্যই অভিজ্ঞতাকে নির্ধারকের জায়গা দিচ্ছি না, দিলে সৃজনশীলতা বলে কিছু থাকে না। তবে কেন যেন সমস্যার গোড়ায় গিয়ে বুঝবার চেষ্টা করার একটা বদঅভ্যাস হয়ে গেছে। তাই এই প্রশ্নগুলো মাথায় এলো। হয়তো আপনি নতুন কোন যৌগমূলক এমনকি মৌল আবিস্কারের সূত্রকে ধারণ করে আছেন শুধুমাত্র জনগণকে জানাবার অপেক্ষা। সেই পোড়া জিভের জনতার মধ্য থেকেই তাকিয়ে আছি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে প্রতিটি নাগরিকের রাজনৈতিক দল গঠণের অধিকার রয়েছে। সুতরাং রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বা নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠণের ঔচিত্য বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। তিনি সুপন্ডিত এবং বিচক্ষণ ব্যক্তি। বহুদিন থেকেই তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে আছেন। দেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক কলকব্জার সঙ্গে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেবারও কিছু নেই। আমরা পারি তাঁকে প্রশ্ন করতে, তাঁর ছাত্রের অবস্থান থেকে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো পঙ্গু না অবিকশিত না বিকাশরহিত এ বিষয়ে র্তক থাকলেও কাঠামোগত দূর্বলতার প্রশ্নে মোটামুটি ডান-বাম সকলে একমত। র্বতমান রাজনৈতিক শ্রেণী উঠে এসেছে এই দূর্বলতার বেনিফিসিয়ারি হিসেবে এবং সেই কারণে তারা প্রাতিষ্ঠাণিক দুর্নীতিকে আজকের টোট্যালিটির জায়গায় নিয়ে এসেছে। গণবিরোধী অবস্থান পরিত্যাগ এই রাজনৈতিক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর জন্য রাজনৈতিক আত্মহত্যার শামিল হবে। অর্থাৎ গণমুখী অবস্থান নিতে গেলে জৈবিক নিয়মে বর্তমান রাজনৈতিক শ্রেণীর বিরোধীতা করতে হবে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে তিনি ঠিক কি উপাদান দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক দল গড়ে তুলতে চান? যদি তিনি বর্তমান রাজনৈতিক শ্রেণীর বিন্যাস সমাবেশ থেকে নতুন দল তৈরী করতে চান তাহলে বলবো মহৎ মেনিফেস্টেশান থাকলেও তাঁর কাছ থেকে আমরা নতুন কিছু পাচ্ছি না। আবার র্বতমান রাজনৈতিক শ্রেণীকে যদি তিনি বাদ দিতে চান তখন প্রশ্ন আসে কারা থাকছেন এই দলে? সিভিল সোসাইটির কথা বললে জটিলতা আরো বাড়বে কারণ সিভিল সোসাইটি নির্ধারণের মানদন্ড আদৌ নির্ধারণ করা যায় কিনা তা আমরা সম্ভবত: এখনো জানিনা। তিনি বলছেন আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গেলে, মানে অংশ নিয়ে কার্যকর ভোট পেতে গেলে তাঁকে বর্তমান রাজনৈতিক শ্রেণীর সহায়তা নিতেই হবে। অথবা গণফোরামের পরিণতি অর্থাৎ একটি মহতি উদ্যোগের অকাল মৃত্যু।
আমি অবশ্যই অভিজ্ঞতাকে নির্ধারকের জায়গা দিচ্ছি না, দিলে সৃজনশীলতা বলে কিছু থাকে না। তবে কেন যেন সমস্যার গোড়ায় গিয়ে বুঝবার চেষ্টা করার একটা বদঅভ্যাস হয়ে গেছে। তাই এই প্রশ্নগুলো মাথায় এলো। হয়তো আপনি নতুন কোন যৌগমূলক এমনকি মৌল আবিস্কারের সূত্রকে ধারণ করে আছেন শুধুমাত্র জনগণকে জানাবার অপেক্ষা। সেই পোড়া জিভের জনতার মধ্য থেকেই তাকিয়ে আছি।
No comments:
Post a Comment