তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সর্বশেষ কর্মকান্ড কিছুটা এলোমেলো মনে হচ্ছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে নিয়ে সৃষ্ট জটিলতাটি। দূর্নীতিবাজদের গ্রেফতারের বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছিলাম। দূর্নীতিদমন এবং একই সঙ্গে নির্বাচনী আইন ও ভোটার তালিকা সংস্কার নি:সন্দেহে অসাধারণ উদ্যোগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে জনগণের চাওয়াও থাকে সেরকম। নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা রাজনৈতিক দলগুলোকে ন্যুনতম মাত্রায় হলেও গণমুখী হতে বাধ্য করে। পোস্ট কলোনিয়াল আর্থ-রাজনৈতিক অবকাঠামোতে জনগণের জন্য সেটা অনেক বড় পাওয়া। কারণ ক্রমপরিবর্তনবাদী বা বৈপ্লবিক যে প্রক্রিয়ার কথাই বলা হোক কোনটাই জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সম্ভব নয়। আর জনগণের পক্ষে অবস্থান একমাত্র গণপ্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সম্ভব। এই গণপ্রতিনিধিত্বশীল ব্যবস্থা কায়েম করা বা ব্যবস্থাকে ত্রুটিমুক্ত করার বা স্বচ্ছতর করার চেষ্টাও গণপ্রতিনিধি ছাড়া কার্যত অসম্ভব। গণঅভ্যুত্থান বা গণবিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের বাদ দিলে সার্বজনীন ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনই এইমুহুর্তে একমাত্র জ্ঞাত পন্থা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাটি এসেছিল নির্বাচন প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে। বাংলাদেশের প্রথম দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল। অসাধারণ দক্ষতায় তারা কাজ করেছেন। ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ এর নির্বাচন নিয়ে পরাজিত পক্ষ দূর্বল আপত্তি তুলেও পরে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০০১ এর তত্ত্বাবাধায়ক সরকার আগের দুবারের তুলনায় কিছুটা নড়বড়ে মনে হলেও তারাও শেষ পর্যন্ত সক্ষম হয়েছেন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে। ২০০১ এ পরাজিত পক্ষের আপত্তি কিছুটা জোরালো হলেও নির্বাচনের ফলাফল সাধারণভাবে জনগণের কাছে অপ্রত্যাশিত মনে হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিরোধীদল সংসদে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন। ২০০৬ এ প্রথমবারের মতো প্রবল বিতর্ক দেখা গেল তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত যে নির্বাচনকেও আটকে দেবে এতটা আশঙ্কা না করলেও খটকা লাগতে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধাণ হবার ঘোষনা থেকে। বিচারপতি কে.এ.হাসানের পরে জেষ্ঠ্যতা অনুসারে যারা আসেন তাদেরকে সংবিধান মোতাবেক প্রস্তাব না পাঠিয়ে রাষ্ট্রপতি হঠাৎ করেই প্রধাণ উপদেষ্টা হবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। তারপরের ঘটনাবলীর মধ্যে গত ১১ জানুয়ারী ইয়াজুদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ এবং ফকরুদ্দিন আহমেদের শপথগ্রহণ পর্যন্ত একধরণের জৈবিক ধারাবাহিকতা দেখা যায়। ২৮ অক্টোবর থেকে ১১ জানয়ারী সময়ে কখনোই মনে হয়নি বাংলাদেশ ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইয়াজউদ্দিন আহমেদের একতরফা চারদলমূখী অবস্থান এবং বিরোধীদের লাগতার প্রতিরোধকে নির্ভরশীল রাষ্ট্রে সামরিক স্বৈরাচারের প্রেক্ষিত-নির্মাণ প্রক্রিয়া বলে মনে হয়েছে।
ফকরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন সরকার প্রথমেই নিবার্চন কমিশনের সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠাণের অঙ্গীকার করেছিলেন। জরুরী অবস্থা ঘোষনা এবং দূর্নীতিদমন অভিযানকে সেই অঙ্গীকারের অংশ হিসেবেই স্বাগত জানানো হয়েছে। দুটি প্রধাণ দলের রুই কাতলাদের ধরা পড়তে দেখে জনগণ উল্লসিত হয়েছে। সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন গণপ্রতিনিধিদের করণীয় বিষয়গুলো নিজের কাঁধে তুলে নিতে শুরু করলেন। সমুদ্রবন্দর ইজারা দেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যচুক্তি সম্পাদন, অবশিষ্ট রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠাণগুলোর কফিনে শেষ পেরেক ঠোকা, সেখানে বকেয়া বেতনের দাবীদার শ্রমিকদের উপর গুলি ছোড়া ইত্যাদি বিষয় বেশ তড়িঘড়ি ঘটতে শুরু করলো। পোস্ট কলোনিয়াল সমাজের রাজনৈতিক শ্রেণীকে সাম্রাজ্যবাদ ঔপনিবেশিক শাসনামলে খুব যত্ন করে তৈরী করেছেন। তারা তর্কাতীতভাবেই করণকারক। কর্তার ইচ্ছায় কর্মসম্পাদনের বাইরে যেতে হলে গ্রামাটোলজিতে পরিবর্তন ছাড়া গতি নেই। নির্বাচনে ক্ষমতায়ও বসবেন তারাই। সুতরাং এই কাজগুলোর কোনটাই নির্বাচিত সরকারের অসাধ্য নয়। পার্থক্য হতো যে নির্বাচিত সরকার দমন নীতি গ্রহণ করলে যে গণপ্রতিরোধের, যে প্রকাশ্য সমালোচনার মুখে পড়তেন জরুরি অবস্থার অধীনে অনির্বাচিত সরকারকে তার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। অবশ্য সমালোচনার মুখে পড়লেই যে পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্তের অন্যথা হয় সেটা সবসময় সত্য নয়। তবুও তাতে ন্যুনতম ঝুঁকি থাকে। একচেটিয়া বাজারে যে কারণে সরাসরি আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদ স্পন্সর করা হয়েছে।
সে যা ই হোক। রাষ্ট্রবিজ্ঞান যাই বলুক। বর্তমান সরকার আমলাতান্ত্রিক-কর্তৃত্ববাদী নন। তারা নির্বাচন অনুষ্ঠাণে অঙ্গীকারাবদ্ধ অন্ত:বর্তীকালিন সরকার। সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং জরুরি অবস্থা দুটোরই বিধান রয়েছে। সামরিক শাসন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান মতে রাষ্ট্রদ্রোহীতার পর্যায়ে পড়ে। ২০০৪ সালে সুপ্রীম কোর্ট ৫ম সংশোধনী সহ অতীতের সকল সামরিক সরকারকে অবৈধ বলে ঘোষনা করেছে। বর্তমান সরকার সংবিধান স্থগিত করেননি সুতরাং তাকে অসাংবিধানিক বলা যাচ্ছে না। প্রশ্ন সেখানে নয় । কথা হচ্ছে দূর্নীতির অভিযোগ থেকে থাকলে অন্যসকলের মতো দুই নেত্রীকেও গ্রেফতার করা হোক। গণশত্রুদের বিষয়ে জনগণ আগুন আবিস্কারের আগে থেকেই নিষ্ঠুর। সুতরাং দূর্নীতির অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হলে তাতে বরং জনগণ খুশীই হবেন। অথচ গত মাসখানেকের ঘটনা প্রবাহ অন্যরকম। বিচারের মুখোমুখি করার বদলে দেশত্যাগে বাধ্য করা কিংবা দেশে প্রবেশে বাধা দেওয়ার মতো ঘটনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে উঠে আসছে সমুদ্রবন্দর ইজারা কিংবা বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে সিদ্ধান্তগুলোও। সেনা প্রধাণ ঘন ঘন প্রকাশ্য বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে যাকে স্বাভাবিক বলা কঠিণ। প্রধাণ উপদেষ্টার ঘোষনা মতে ১৮ মাস পরে নির্বাচন করতে জরুরী অবস্থাকে দীর্ঘয়িত করতে হবে। তা হোক। গণদাবীর প্রেক্ষিতে সংবিধান পরিবর্তিত করা কোন সমস্যা নয় বরং সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জরুরি অবস্থা চলাকালীন সরকারের কার্যক্রমে যদি জনগণ সরকারের প্রতি আস্থা হারায় তাহলে পরিস্থিতি কি দাড়াবে? কে নেবে তার দায়?
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাটি এসেছিল নির্বাচন প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে। বাংলাদেশের প্রথম দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল। অসাধারণ দক্ষতায় তারা কাজ করেছেন। ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ এর নির্বাচন নিয়ে পরাজিত পক্ষ দূর্বল আপত্তি তুলেও পরে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। ২০০১ এর তত্ত্বাবাধায়ক সরকার আগের দুবারের তুলনায় কিছুটা নড়বড়ে মনে হলেও তারাও শেষ পর্যন্ত সক্ষম হয়েছেন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে। ২০০১ এ পরাজিত পক্ষের আপত্তি কিছুটা জোরালো হলেও নির্বাচনের ফলাফল সাধারণভাবে জনগণের কাছে অপ্রত্যাশিত মনে হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিরোধীদল সংসদে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন। ২০০৬ এ প্রথমবারের মতো প্রবল বিতর্ক দেখা গেল তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত যে নির্বাচনকেও আটকে দেবে এতটা আশঙ্কা না করলেও খটকা লাগতে শুরু করে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধাণ হবার ঘোষনা থেকে। বিচারপতি কে.এ.হাসানের পরে জেষ্ঠ্যতা অনুসারে যারা আসেন তাদেরকে সংবিধান মোতাবেক প্রস্তাব না পাঠিয়ে রাষ্ট্রপতি হঠাৎ করেই প্রধাণ উপদেষ্টা হবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। তারপরের ঘটনাবলীর মধ্যে গত ১১ জানুয়ারী ইয়াজুদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ এবং ফকরুদ্দিন আহমেদের শপথগ্রহণ পর্যন্ত একধরণের জৈবিক ধারাবাহিকতা দেখা যায়। ২৮ অক্টোবর থেকে ১১ জানয়ারী সময়ে কখনোই মনে হয়নি বাংলাদেশ ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইয়াজউদ্দিন আহমেদের একতরফা চারদলমূখী অবস্থান এবং বিরোধীদের লাগতার প্রতিরোধকে নির্ভরশীল রাষ্ট্রে সামরিক স্বৈরাচারের প্রেক্ষিত-নির্মাণ প্রক্রিয়া বলে মনে হয়েছে।
ফকরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন সরকার প্রথমেই নিবার্চন কমিশনের সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠাণের অঙ্গীকার করেছিলেন। জরুরী অবস্থা ঘোষনা এবং দূর্নীতিদমন অভিযানকে সেই অঙ্গীকারের অংশ হিসেবেই স্বাগত জানানো হয়েছে। দুটি প্রধাণ দলের রুই কাতলাদের ধরা পড়তে দেখে জনগণ উল্লসিত হয়েছে। সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন গণপ্রতিনিধিদের করণীয় বিষয়গুলো নিজের কাঁধে তুলে নিতে শুরু করলেন। সমুদ্রবন্দর ইজারা দেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যচুক্তি সম্পাদন, অবশিষ্ট রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠাণগুলোর কফিনে শেষ পেরেক ঠোকা, সেখানে বকেয়া বেতনের দাবীদার শ্রমিকদের উপর গুলি ছোড়া ইত্যাদি বিষয় বেশ তড়িঘড়ি ঘটতে শুরু করলো। পোস্ট কলোনিয়াল সমাজের রাজনৈতিক শ্রেণীকে সাম্রাজ্যবাদ ঔপনিবেশিক শাসনামলে খুব যত্ন করে তৈরী করেছেন। তারা তর্কাতীতভাবেই করণকারক। কর্তার ইচ্ছায় কর্মসম্পাদনের বাইরে যেতে হলে গ্রামাটোলজিতে পরিবর্তন ছাড়া গতি নেই। নির্বাচনে ক্ষমতায়ও বসবেন তারাই। সুতরাং এই কাজগুলোর কোনটাই নির্বাচিত সরকারের অসাধ্য নয়। পার্থক্য হতো যে নির্বাচিত সরকার দমন নীতি গ্রহণ করলে যে গণপ্রতিরোধের, যে প্রকাশ্য সমালোচনার মুখে পড়তেন জরুরি অবস্থার অধীনে অনির্বাচিত সরকারকে তার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। অবশ্য সমালোচনার মুখে পড়লেই যে পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্তের অন্যথা হয় সেটা সবসময় সত্য নয়। তবুও তাতে ন্যুনতম ঝুঁকি থাকে। একচেটিয়া বাজারে যে কারণে সরাসরি আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদ স্পন্সর করা হয়েছে।
সে যা ই হোক। রাষ্ট্রবিজ্ঞান যাই বলুক। বর্তমান সরকার আমলাতান্ত্রিক-কর্তৃত্ববাদী নন। তারা নির্বাচন অনুষ্ঠাণে অঙ্গীকারাবদ্ধ অন্ত:বর্তীকালিন সরকার। সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং জরুরি অবস্থা দুটোরই বিধান রয়েছে। সামরিক শাসন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান মতে রাষ্ট্রদ্রোহীতার পর্যায়ে পড়ে। ২০০৪ সালে সুপ্রীম কোর্ট ৫ম সংশোধনী সহ অতীতের সকল সামরিক সরকারকে অবৈধ বলে ঘোষনা করেছে। বর্তমান সরকার সংবিধান স্থগিত করেননি সুতরাং তাকে অসাংবিধানিক বলা যাচ্ছে না। প্রশ্ন সেখানে নয় । কথা হচ্ছে দূর্নীতির অভিযোগ থেকে থাকলে অন্যসকলের মতো দুই নেত্রীকেও গ্রেফতার করা হোক। গণশত্রুদের বিষয়ে জনগণ আগুন আবিস্কারের আগে থেকেই নিষ্ঠুর। সুতরাং দূর্নীতির অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হলে তাতে বরং জনগণ খুশীই হবেন। অথচ গত মাসখানেকের ঘটনা প্রবাহ অন্যরকম। বিচারের মুখোমুখি করার বদলে দেশত্যাগে বাধ্য করা কিংবা দেশে প্রবেশে বাধা দেওয়ার মতো ঘটনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে উঠে আসছে সমুদ্রবন্দর ইজারা কিংবা বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে সিদ্ধান্তগুলোও। সেনা প্রধাণ ঘন ঘন প্রকাশ্য বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে যাকে স্বাভাবিক বলা কঠিণ। প্রধাণ উপদেষ্টার ঘোষনা মতে ১৮ মাস পরে নির্বাচন করতে জরুরী অবস্থাকে দীর্ঘয়িত করতে হবে। তা হোক। গণদাবীর প্রেক্ষিতে সংবিধান পরিবর্তিত করা কোন সমস্যা নয় বরং সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জরুরি অবস্থা চলাকালীন সরকারের কার্যক্রমে যদি জনগণ সরকারের প্রতি আস্থা হারায় তাহলে পরিস্থিতি কি দাড়াবে? কে নেবে তার দায়?
No comments:
Post a Comment