রাষ্ট্র কেন ভীন্নমতকে সহ্য করেনা ? ব্যাপারটা পরিস্কার হতে গেলে জানতে হবে রাষ্ট্র কি ? রাষ্ট্র কি চিরদিনই বর্তমান ছিল, না তাবৎ লৌকিক ধারনার মতোই নশ্বর ।
রাষ্ট্র হচ্ছে সাদা কথায় একটি যন্ত্র(এই বিষয়ে 'মেশিন','মেকানিজম'এবং 'ইনসট্রুমেন্ট'এর তফসির নিয়ে ম্লেচ্ছ সমাজবিজ্ঞানীদের মধ্যে যে সকল আইড়া তর্ক প্রচলিত আছে, সেগুলা আপাতত বাদ ) , সমাজ বিবর্তনের এক বিশেষ অবস্থায় যার উৎপত্তি । উৎপাদনের উদ্্বৃত্ত মালিকানা থেকে অর্থনৈতিক শ্রেণীর উৎপত্তি, আধিপত্যকারি শ্রেণীর স্বার্থে রাষ্ট্রের উৎপত্তিকে অনিবার্য করে তোলে । শোষক এবং শোষিতের দ্্বন্দ্বকেএকটি সীমার মধ্যে ধরে রাখা, তার মাধ্যমে শোষণ ব্যাবস্থাকে চালু রাখাই রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য । এই কারণে যে কোন রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে যারা শক্তিশালী তাদের স্বার্থে এবং তাদের দ্্বারাই পরিচালিত হয়ে থাকে । এই প্রক্রিয়া রাষ্ট্রকে সমাজ থেকে ক্রমশ: বিচ্ছিন্ন ও শক্তিশালী করে তোলে ।
ভারতীয় দর্শণ থেকে আলোচনা শুরু করেছিলাম নৃবৈজ্ঞাণিক পশ্চাৎপট নির্দেশের উদ্দেশ্যে । শক্তিমানের স্বার্থ ছিল সমালোচনার অধিকারহরণ করা । যে ধরনের বিশ্লেষণ ক্রমাগত প্রশ্ন উত্থাপনের প্রবণতা সৃষ্টি করে, তাকে দমন করা । মনু বলেছেন,
''বেদকে শ্রুতি এবং ধর্মশাস্ত্রকে স্মৃতি বলে মানবে । এই দুই হলো সমস্ত ধর্মের মূল ।তা নিয়ে কোন তকর্াতর্কি চলবে না । 'হেতু শাস্ত্র' অবলম্বন করে কোন দ্্বিজ যদি শ্রুতি-স্মৃতির অবমাননা করে তাহলে 'সাধু ব্যক্তিরা' তাকে একেবারে দূর করে দেবেন । বেদ নিন্দুকেরা নাস্তিক''
নাস্তিকদের নিয়ে আইনকর্তাদের এই দুশ্চিন্তার কারণ রাজনৈতিক । নাস্তিকতা প্রবল হলে শাসনব্যবস্থা এবং শাসক সম্প্রদায়ের সমূহ বিপদ, উহারা কেবলই প্রশ্ন করে।
রাষ্ট্র হচ্ছে সাদা কথায় একটি যন্ত্র(এই বিষয়ে 'মেশিন','মেকানিজম'এবং 'ইনসট্রুমেন্ট'এর তফসির নিয়ে ম্লেচ্ছ সমাজবিজ্ঞানীদের মধ্যে যে সকল আইড়া তর্ক প্রচলিত আছে, সেগুলা আপাতত বাদ ) , সমাজ বিবর্তনের এক বিশেষ অবস্থায় যার উৎপত্তি । উৎপাদনের উদ্্বৃত্ত মালিকানা থেকে অর্থনৈতিক শ্রেণীর উৎপত্তি, আধিপত্যকারি শ্রেণীর স্বার্থে রাষ্ট্রের উৎপত্তিকে অনিবার্য করে তোলে । শোষক এবং শোষিতের দ্্বন্দ্বকেএকটি সীমার মধ্যে ধরে রাখা, তার মাধ্যমে শোষণ ব্যাবস্থাকে চালু রাখাই রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য । এই কারণে যে কোন রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে যারা শক্তিশালী তাদের স্বার্থে এবং তাদের দ্্বারাই পরিচালিত হয়ে থাকে । এই প্রক্রিয়া রাষ্ট্রকে সমাজ থেকে ক্রমশ: বিচ্ছিন্ন ও শক্তিশালী করে তোলে ।
ভারতীয় দর্শণ থেকে আলোচনা শুরু করেছিলাম নৃবৈজ্ঞাণিক পশ্চাৎপট নির্দেশের উদ্দেশ্যে । শক্তিমানের স্বার্থ ছিল সমালোচনার অধিকারহরণ করা । যে ধরনের বিশ্লেষণ ক্রমাগত প্রশ্ন উত্থাপনের প্রবণতা সৃষ্টি করে, তাকে দমন করা । মনু বলেছেন,
''বেদকে শ্রুতি এবং ধর্মশাস্ত্রকে স্মৃতি বলে মানবে । এই দুই হলো সমস্ত ধর্মের মূল ।তা নিয়ে কোন তকর্াতর্কি চলবে না । 'হেতু শাস্ত্র' অবলম্বন করে কোন দ্্বিজ যদি শ্রুতি-স্মৃতির অবমাননা করে তাহলে 'সাধু ব্যক্তিরা' তাকে একেবারে দূর করে দেবেন । বেদ নিন্দুকেরা নাস্তিক''
নাস্তিকদের নিয়ে আইনকর্তাদের এই দুশ্চিন্তার কারণ রাজনৈতিক । নাস্তিকতা প্রবল হলে শাসনব্যবস্থা এবং শাসক সম্প্রদায়ের সমূহ বিপদ, উহারা কেবলই প্রশ্ন করে।
No comments:
Post a Comment