'শ্লীলতা' এবং 'অশ্লিলতা' বলতে আসলে কি বোঝায় ? বাংলা অভিধান মতে শিষ্টতা বা ভদ্রতা। অভিধানে যে বিষয়টি অনুপস্থিত তা হচ্ছে কার দৃষ্টিতে এবং কার প্রতি শিষ্টতা। এরকম শব্দ পৃথিবীর প্রতিটি ভাষাতেই রয়েছে । শব্দের এই বহুমাত্রিকতা নিয়েই সাহিত্যের কারবার।
ভাষার রূপ পরিবর্তিত হয় সামাজিক অবকাঠামোর ভিত্তিতে। প্রাতিষ্ঠাণিক রুপ তা ই পায় যা রাষ্ট্রের সমর্থন লাভ করে। কে রাষ্ট্রের সমর্থন লাভ করে ? যে কোন না কোনভাবে রাষ্ট্রের স্বার্থ উদ্ধারে সহায়ক । এই ব্যাপারটা অবশ্য যান্ত্রিকভাবে দেখার অবকাশ নেই , কারণ বিকাশের ধারায় অন্যসবকিছুর মত প্রতিষ্ঠাণকেও অনর্্তদ্্বন্দ্ব ধারণ করতে হয়েছে উত্তরাধিকার সূত্রে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রচার মাধ্যম, এর উদাহরণ । এই দুটি মাধ্যমে দ্্বান্দ্বিকতার সূচক হচ্ছে বুদ্ধির বা সাদা কথায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা দৃশ্যমান হয় ভাষার বহুমাত্রিক প্রয়োগ পদ্ধতিতে, যেখানে একটি শব্দের বহুমাত্রিক প্রয়োগ, প্রেক্ষিতের বহুমাত্রিকতা সাপেক্ষে স্বীকৃত , যাকে সাধারণ অর্থে সাহিত্য বলা হয়। এই বহুমাত্রিকতা প্রয়োগের স্বীকৃতি কিন্তু আসলে রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া নয় । যে কারণে লেখক আইনের তোয়াক্কা না করে কলম চালায়। এই প্রয়োগ হচেছ জনগণ এবং রাষ্ট্রের দ্্বন্দ্বের প্রতিফলণ।
সুতরাং মুক্তবুদ্ধির সমর্থক হওয়া ছাড়া সাহিত্যের সমর্থক হওয়া অসম্ভব । সাহিত্য তার রসদ সংগ্রহ করে সমাজ থেকে , যে সমাজ উৎপাদন সমর্্পকের জটিল দ্্বন্দ্বে শ্রেণী বিভক্ত । ভাষাও শ্রেণীবিভক্ত একই কারণে । সাহিত্য ধারণ করে এই দ্্বন্দ্বকে ; দ্্বন্দ্ব বিলুপ্তির উদ্দেশ্যে নয় , দ্্বন্দ্বের স্বরুপ উদঘাটনের উদ্দেশ্যে ।সাহিত্যের ভাষা কোন শব্দের "সাধারণ স্বীকৃতির" মূলনীতি অনুসরণ করে না । সাহিত্যে তাই শ্লীলতা বা অশ্লীলতার অভিযোগ প্রমাণ অসম্ভব ।
ভাষার রূপ পরিবর্তিত হয় সামাজিক অবকাঠামোর ভিত্তিতে। প্রাতিষ্ঠাণিক রুপ তা ই পায় যা রাষ্ট্রের সমর্থন লাভ করে। কে রাষ্ট্রের সমর্থন লাভ করে ? যে কোন না কোনভাবে রাষ্ট্রের স্বার্থ উদ্ধারে সহায়ক । এই ব্যাপারটা অবশ্য যান্ত্রিকভাবে দেখার অবকাশ নেই , কারণ বিকাশের ধারায় অন্যসবকিছুর মত প্রতিষ্ঠাণকেও অনর্্তদ্্বন্দ্ব ধারণ করতে হয়েছে উত্তরাধিকার সূত্রে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রচার মাধ্যম, এর উদাহরণ । এই দুটি মাধ্যমে দ্্বান্দ্বিকতার সূচক হচ্ছে বুদ্ধির বা সাদা কথায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা দৃশ্যমান হয় ভাষার বহুমাত্রিক প্রয়োগ পদ্ধতিতে, যেখানে একটি শব্দের বহুমাত্রিক প্রয়োগ, প্রেক্ষিতের বহুমাত্রিকতা সাপেক্ষে স্বীকৃত , যাকে সাধারণ অর্থে সাহিত্য বলা হয়। এই বহুমাত্রিকতা প্রয়োগের স্বীকৃতি কিন্তু আসলে রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া নয় । যে কারণে লেখক আইনের তোয়াক্কা না করে কলম চালায়। এই প্রয়োগ হচেছ জনগণ এবং রাষ্ট্রের দ্্বন্দ্বের প্রতিফলণ।
সুতরাং মুক্তবুদ্ধির সমর্থক হওয়া ছাড়া সাহিত্যের সমর্থক হওয়া অসম্ভব । সাহিত্য তার রসদ সংগ্রহ করে সমাজ থেকে , যে সমাজ উৎপাদন সমর্্পকের জটিল দ্্বন্দ্বে শ্রেণী বিভক্ত । ভাষাও শ্রেণীবিভক্ত একই কারণে । সাহিত্য ধারণ করে এই দ্্বন্দ্বকে ; দ্্বন্দ্ব বিলুপ্তির উদ্দেশ্যে নয় , দ্্বন্দ্বের স্বরুপ উদঘাটনের উদ্দেশ্যে ।সাহিত্যের ভাষা কোন শব্দের "সাধারণ স্বীকৃতির" মূলনীতি অনুসরণ করে না । সাহিত্যে তাই শ্লীলতা বা অশ্লীলতার অভিযোগ প্রমাণ অসম্ভব ।
No comments:
Post a Comment