Wednesday, November 04, 2009

টুকরো টুকরো লেখা ১৬


সচলায়তনে লেখার মান নিয়ে নানান কথা হয়। সেইসব কথার সাথে আমার যে তেমন দ্বিমত আছে তাও না। বাজে পোস্টগুলির নমুনা দেখি। শঙ্কিত হই নিজের লেখাজোখা নিয়ে। বাংলা ব্লগিঙের শুরু থেকে কালিরামের ঢোল ফাটিয়ে নেচে চলেছি বলে কখনো ভাবতে চেষ্টাও করিনি পাঠকরা হঠাৎ একদিন "বল হরি" শুরু করলে কোন্দিক যাবো। এইসব ভাবনা কান টেনে চাঁদিতে ঠুয়া মারে। ঠিক কোন স্কেলে টিউন করতে চায় বোঝা যায় না।

১.

কত কাজ জমে আছে ভাবতে যাবার মূল সমস্যা হচ্ছে তাতে টেবিলে পেন্ডিঙ কাজের বিন্ধ্যাচল তৈরী হয়ে যায়। আর যারা ডিফল্ট বিন্ধ্যাচল থেকে ভাবতে শুরু করেন তাদের অবস্থা কী হয়? সমস্যা হলো এই ভাবাভাবি থেকে কীভাবে রেহাই পাওয়া যায় এটাও ভাবতে হয়। আর সেখান থেকে ফণা তোলে অসংখ্য বাইলাইন। আমি কম্পিউটার গেমসের কোনকালেই ভক্ত না। ১৯৯৮ এর দিকে ক্ল খেলতাম আর ২০০০-২০০১ এর দিকে হলে বসে শিখেছিলাম নীড ফর স্পীড ১ আর ২। সেখানে আমার যা স্কিল তাতে এইসব ত্রিমাত্রিক বাইলাইনের ধাঁধা থেকে বের হওয়া পোষায় না। সুতরাং প্লবগস্ক্রুবাস্তবতা থেকে মুক্তির কোন দূরবর্তী সম্ভাবনা আপাতত দেখতে পাচ্ছি না। তারপরেও জৈবিক নিয়মে নড়তে চড়তে হয়। পদার্থ বিজ্ঞানের সাথে খানিক দর্শন মিলিয়ে এইসব নড়াচড়াকে সরণ বলে চালিয়ে দেওয়া যেতে পারে। সেই দিক থেকে দেখলে প্রচুর কাজ প্রতিদিনই করছি দেঁতো হাসি

২.

চালের দাম কমেছে। নির্বাচনের দেড় সপ্তাহের মাথায় এই ঘটনা থেকে অনেকেই দুইয়ে দুইয় চার করার চেষ্টা করছেন। আমি চেষ্টার লাইন বাদ দিয়ে সোজা কয়েক দোকান ঘুরে সব থেকে কম অফার দেখে কিনে ফেললাম। একদুই কেজি না। একবারে ১০ কেজি। কোত্থেকে এসেছে পরিস্কার লেখা নাই। বাসমতি চাল যেহেতু, ৮০% সম্ভাবনা পাকিস্তান আর ২০% ভারত। যাই হোক সস্তা বলে কথা। আফগান দোকানে বাসমতির দাম যে খানে কখনোই দুই আড়াই ইউরোর নিচে নামে না সেখানে একেবারে কেজিপ্রতি এক ইউরো চল্লিশ সেন্টের অফার। দেখামাত্র সাতপাঁচ না ভেবে দুই হাতে দুইটা পাঁচ কেজির ব্যাগ নিয়ে সোজা বাড়ি। বাড়ি এসে দেখি কোম্পানির নাম আল জাজিরা। এই চাল কিনবার দিন থেকেই সচলে লেখালেখি বন্ধ। এই নিয়েই চিন্তায় ছিলাম। চালই কি তাহলে আঙ্গুলে বান মারলো? এইসব ধুনফুন ভাবতে ভাবতে শেষে পূর্বপুরুষকে কিছু না-হক গালাগালি করে লগ ইন করলাম সচলে। তারপর সোজা ব্লগ লিখুনে ক্লিক করে শুরু করলাম আল জাজিরা ব্লগিং ....

৩.

জার্মানীর নির্বাচনের আগে একটা সিরিজ শুরু করেছিলাম। সেটা চালাবার প্রতিশ্রতি থেকে সরে আসছি না। যদিও কবে ঠিকঠাক মতো একটা রিভিউ লিখতে পারবো জানি না। হতে পারে এই হপ্তাতেই। হতে পারে পরের মাসে। ততদিনে ইস্যু অবশ্য বাসি হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। তবুও লিখবার পরিকল্পনাটা মাথায় ধরে রাখছি। দেখা যাক আল জাজিরা কতদূর লেখায়।

জার্মানীর ইতিহাসের সব থেকে খারাপ কোয়ালিশন এখন ক্ষমতায়। এরকম সর্বাত্মক ডানপন্থী কোয়ালিশন অতীতে এখানে গদীতে বসেনি। আশা বলতে একমাত্র রিসেশানটাই আছে। আর্য বুর্জোয়ারা যদি অন্তত রিসেশানের দোহাই দিয়েও একটু কম ব্যাথা দেয় এরকম ভ্রান্ত প্রত্যাশায় থাকার চেষ্টায় আছেন আমিসহ আরো বহু দক্ষিণপন্থা বিরোধীরা।

৪.

আঙ্গুলের খানিক ব্যায়াম হলেও লেখা আসলে হচ্ছে কী না পাঠক বলতে পারবেন। তবে ব্যায়াম ছাড়া লেখা বের হবে না এটাও ঠিক। যারা লেখার মান নিয়ে চিন্তায় আছেন তাদের একটা কথাই বলতে পারি, আঙ্গুল থামাবেন না। লোকে যাই বলুক। আপনার লেখা যদি ধুনফুন হয়ে থাকে তো লোকে ধুনফুন বলবেই। তাতে বরং আরো লেখার সেক্স বেড়ে যাবার কথা। দ্বিতীয়তে না হলেও অন্তত চতুর্থ চেষ্টায় দেখবেন লেখায় সদ্য তোলা নানরুটির ভাঁপ। পাশে খিরিগুর্দার ঝোল ....

একটা গান দিয়ে শেষ করি। গানটা শচীন দেব বর্মনের। আধ্যাত্মিক গান। কিন্তু উপাদেয়। এখানেই গায়কের মুন্সীয়ানা। কর্তার স্কিল এতোই উপরের যে ডিজুসদেরকেও কানে ধরে মারফতি গান শুনতে বাধ্য করতে পারেন।

এম্বেড করতে গিয়ে দেখি ইস্নিপসের ঐ ফাইলে এম্বেডের কোড নাই। অনেক্ষণ আনাড়ির মতো গুতাগুতি করে শেষে এভাবেই লিঙ্কু দিলাম

দোষ আমার না। ইস্নিপসের আর আল জাজিরার ....

No comments: