Saturday, July 02, 2011

খৎনাকৃত সেকুলারিজম, প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আর নৌকাছাগুদের বুদ্ধিখুঁটি

প্রতিবারই জোর করে কী-বোর্ডের সামনে বসার সময় মনে হয় আমার অস্তিত্বকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চারদিকে যতকিছু ঘটে যাচ্ছে তার বৃত্তান্ত টুকে রাখার আমি কে? আমার দায় কী? পরে সুবিধামতো বুঝে উঠি দায়টায় কিছু না। বস্তুজগতের অতিক্ষুদ্রকণা হিসাবে অন্তত স্বগতোক্তি  করে যাচ্ছি। ব্লগ জিনিসটা দিনলিপি হিসাবে শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত যেমন দিনলিপিতে থেমে থাকে নাই সেরকম আবার ব্লগে দিনলিপি লেখা হারামও হয়ে যায় নাই। এরকম ভাবতে ভাবতে একেক সময় নিজের মতো দিলখুশ হয়ে একাএকা বিড়বিড় করে হাসি। এইসব হাসির বেশীরভাগ শেষ পর্যন্ত কী-বোর্ডের বুকেহাত দেওয়া অব্দি পৌঁছায় না।  

সচলায়তনের জন্মদিন গেল গতকাল। সারাটা দিন বসে ছিলাম মনিটরের সামনে। একসঙ্গে অনেককিছু লেখার ইচ্ছে হলেও শেষমেষ তেহারি রান্না করে হিমুকে ডাক দিলাম। অনেক ধুনফুনালাপের ফাঁকে ফাঁকে একটা কথাই খোঁচাচ্ছিল। কতকাল কিছু লিখি না! সেই জানুয়ারী থেকে দেশেবিদেশেব্লগাবর্তে কতকিছু ঘটে গেল। একটা সময় ইস্যু মাটিতে পড়তে দিতাম না। এখন সেইসব দিন পৌরাণিক। আমাদের সেদিনের সেই নবজাতক গতকাল চারবছর পুরো করে ফেলল। সে এখন সগৌরবে পরিমাণগত থেকে গুণগত রূপান্তরের স্তরে। শুধু অভিনন্দন দিয়ে কি আর মন ভরে?

১.

অবশেষে সংবিধান সংশোধন হলো। একে সঙশোধন বললে আবার সঙের মানসন্মান নিয়ে টানটানি পড়ে। সর্বোচ্চ আদালত ৫ম আর ৭ম সংশোধনী বাতিল করলে তাতে "বিসমিল্লাহ"/"রাষ্ট্রধর্ম" সবই বাতিল হয়েছিল। কিন্তু সংসদে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনধারী সরকারী দল লেগে পড়লো আদালতের সেই রায়কে "যূগোপযোগী " করতে। স্বৈরশাসক হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারী দলের মিত্র বিধায় তাঁকে খুশি না করার আর কোন রাস্তা দেখা গেল না। সেইসূত্রে সামরিক শাসন জারির দায় থেকে মুক্তি পেলেন লেজেহোমো। রক্ষা পেল ইসলামের সওগাত নিয়ে আসা রাষ্ট্রধর্মও।  আবার প্রধান বিরোধী দলের সংযোজন করা "বিসমিল্লাহ"  রেখে দিয়ে তাঁদেরও খানিকটা বাধিত করা হলো। থেকে গেল ধর্মভিত্তিক রাজনীতিও। স্পষ্ট মনে পড়ে নব্বই দশকে তর্জনি নেড়ে নেড়ে খালেদা জিয়া বলতো, " অ্যামর‍্যা স্যাংবিধানে বেসমেল্লা স্যাংজোজন করেছি..."। সেই সময় ক্ষমতাসীন দল আর তার সমর্থক বুদ্ধিঢেঁকিরা যা বলতেন সেগুলিও মনে পড়ে। মনে পড়ে ১৯৭২এর সংবিধান পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার দোহাই দিয়ে তাবৎ আওয়ামী অপরাধ হালাল করার নিরন্তর মকারি। এইসব বুদ্ধিঢেঁকিদের সকলেই যে আওয়ামী খাইসলতের হালুয়ারুটির ভাগ পেতেন তা না। বলবো বেশীরভাগই এগুলি বলতেন একধরণের রাজনৈতিক বিশ্বাস থেকে। এই বিশ্বাস যে ছাগু বিশ্বাস তাও আমরা বহুদিন থেকে বুঝি। কিন্তু এই "বুঝ"টা "জানা"য় পরিণত হলো গতপরশু। আর সেই "জানা" থেকে প্রাপ্ত হলো বোধিস্বত্ব। আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেলে কতটা মোটা করে আঁটি বাঁধতে পারে ইতিহাসে তার একটা স্পষ্ট প্রমাণ থেকে গেলো। আওয়ামী লীগ পরিণত হলো খৎনা লীগে আর তাদের অ্যাপোলোজিস্টরা নৌকাছাগুতে। খৎনা লীগকে প্রগতিশীল প্রমাণে মেধাক্ষয়ও ছাগুকর্ম

২.

কথা হচ্ছে যারা খৎনা ছাড়া সেকুলারিজমের সমর্থক, যারা স্পষ্টত:ই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি এবং ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে, যারা একই সঙ্গে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠনের বিপক্ষে অর্থাৎ যারা এইসব প্রবল মকারিঝঞ্ঝার মধ্যেও সত্যি সত্যি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে তাঁদের কর্তব্য কী? আমি বলবো অতীতের থেকে অনেক বেশি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে লড়াই করতে থাকা। এই লড়াই চলবে সর্বত্র। বারে বারে চোখে আঙ্গুল দিয়ে রাষ্ট্রের পরস্পরবিরোধীতার জায়গাগুলি দেখিয়ে দিতে হবে। মাঠের রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নির্মাণে এই চোখে আঙ্গুল দেওয়াগুলি একমাত্র না হলেও অতিঅবশ্য কর্তব্যগুলির একটি। প্রগতির পক্ষে মতাদর্শিক আধিপত্য সৃষ্টি পরিমাণগত থেকে গুণগত রূপান্তরে খুবই জরুরি।

এই লড়াই এর অনেকগুলি মাঠের মধ্যে একটা হচ্ছে ব্লগ। গণসংযোগে ব্লগের দানবিয় ক্ষমতাকে রাষ্ট্র একটু একটু করে বুঝতে শুরু করেছে। সুতরাং ব্লগে প্রচুর লাফালাফি অব্যহত থাকতেই হবে। সেই লাফালফিতে সচলায়তন তাঁর জন্মের শর্তানুসারেই অগ্রগামী। কিন্তু এতে আত্মতৃপ্ত হবার কোন সুযোগ নাই। সচলদের সক্রিয়তা আগের থেকে আরো অনেক অনেক বেশি বাড়তে হবে। মনে রাখতে হবে সচলায়তন আক্ষরিক অর্থে একটা সেকুলার প্লাটফর্ম যার স্বরূপ লিঙ্গবাদি না। সুতরাং তার খৎনা দেবারও কোন প্রশ্ন ওঠে না।

জন্মদিনে তাই আর কোন পাতলা অভিনন্দন না। সচলদের প্রতি আহ্বান থাকলো সচলোপযোগী গাদা গাদা আজাইরা লেখালেখি অব্যহত রাখতে।

আমাদের সচলায়তন লড়ে যাক বাতিলের পক্ষে। গায়েবের বিপক্ষে।

1 comment:

hedaet said...

www.hedaet.com -বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও তথ্য ভাণ্ডার
১. ফোরাম: আপনি যে কোন লিখা বা বিজ্ঞপ্তি (পাত্র-পাত্রী, বন্ধুত্ব, চাকুরী, কাজ চাই, নিউজ, খেলা-ধুলা, বাড়ী-ভাড়া)প্রকাশ করতে পারবেন ফ্রিভাবে।
২. কমেন্ট শো: www.hedaet.com-সাইটের হোম পেজেই কোন মন্তব্য লিখলে তাৎণিক দেখা যায়।
৩. লিঙ্ক ডিরেক্টরী: ষাট ক্যাটাগরীতে প্রায় ২০০০০ (বিশ হাজার) ওয়েব সাইটের ঠিকানা পাবেন।
৪. Translate / অনুবাদ: আপনি সেকেণ্ডের মধ্যে প্রতি পৃষ্ঠা ইংরেজী/আরবী থেকে বাংলা বা যেকোন ভাষায় অনুবাদ করতে পারবেন।
৫. সার্চ বক্স: গুগল, ইয়াহুর মতো রয়েছে আমাদের সার্চ বক্স। বিশ্বের যা কিছু খুজতে চান, সেকেণ্ডের মধ্যে খুজে পাবেন।
৬. ফেসবুক: এ সাইট থেকেই ফেসবুকের লাইক বাটন ইউজ করতে পারবেন।
৭. অনলাইনে আয়: আনলাইনে আয় আমাদের ফোরামে ধারাবাহিকভাবে জানতে পারবেন।
৮. আপনার ওয়েব সাইট ফ্রি যোগ করা: আমাদের ডিরেক্টরীতে আপনার পছন্দ য়ে কোন ওয়েব সাইট যোগ করতে পারবেন ফ্রি ভাবে।
৯. আমাদের হোম পেজেই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন।
১০. আগামী দশ দিনের আবহাওয়ার তথ্য জানতে পারবেন।
১১. অন্যান্য: হেদায়েত ডট কম সাইটে ফ্রি ম্যাসেজ, ফ্রি ফ্যাক্স পাঠানো, লাইফ স্পোর্টস ও মুভি দেখার লিঙ্ক সুবিধা পাবেন। আমাদের ফোরাম পড়ে জানতে পারবেন, কোথায় নতুন প্রযুক্তির কৃষিযন্ত্র পাওয়া যায়, বিনা পয়সায় ইন্টারনেটের গতি কি করে বাড়াবেন, ইন্টারনেটে বাংলা কি করে লিখবেন, মোবাইলে বাংলা লিখা দেখার নিয়ম, বাংলাদেশে কোথায়-কোথায় কর্মসংস্থানমূলক ট্রেনিং; দেয়া হয়, তার ঠিকানা; বাংলাদেশের সকল পোষ্ট কোড নম্বর; র‌্যাব-পুৃিলশ, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসের জরুরী কয়েক হাজার টেলিফোন নম্বর; স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক জরুরী কথা, বাংলাদেশের কোথায়-কোথায় ফ্রি সেবা দেয় তার ঠিকানা, কম্পিউটার ও সফটওয়ার বিষয়ক জরুরী বিষয়গুলো; বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির খবর, গুণীজনদের জীবনী; কিভাবে ওয়েব সাইট খুলতে হয়; ঢাকার ভিখারুন্নেছা নুন স্কুল ও রাজশাহীর সাফল্য কোচিংয়ের প্রথম শ্রেণী ভর্ত্তি গাইড ফ্রিভাবে পড়তে পারবেন, এমন দেশী-বিদেশী বহু তথ্য পাবেন সম্পূর্ণ ফ্রিভাবে। আমাদের সাইটের মাধ্যমে ইমেইল একাউন্ট অচিরেই খুলতে পারবেন। অনলাইন লাইফ টিভি চ্যানেল খোলার প্রচেষ্টাও রয়েছে। প্রতিদিন আমাদের সাথে থাকুন, মতামত দিন কমেন্ট বক্সে, www.hedaet.com -এর ফোরাম পড়লে আপনার জীবনের জরুরী বিষয়গুলো জানতে পারবেন।
১২. এস.ই.ও.- যেকোন ওয়েব সাইট প্রচারের জন্য আমাদের রয়েছে, ২০০০ ডু ফলো লিঙ্ক, ২০০০ ডিরেক্টরী, ২০০০ ফোরাম এর লিঙ্ক।