Thursday, April 09, 2015

টুকরো টুকরো লেখা ২৯

গত সপ্তাহে মধ‌্য-জার্মানীতে ভূতুড়ে আবহাওয়া। এই রোদ এই বৃষ্টি এই তুষার। সেই তুষার আবার মাটিতে পড়তে পড়তে জল। রোদ একটু উঁকি দিতে না দিতেই অশ্লিল মেঘ। পরশু রাত থেকে একটু একটু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আজকে দুপুরে বেশ ভালো। শীত থেকে পোলভোল্ট করে গ্রীষ্মে না গিয়ে অন্তত কয়েকটা দিন বসন্ত পাওয়া যাবে আশা করার মত।
১.
গত বছর দেড়েকের মধ্যে বেশ কয়েকটা বিমান দুর্ঘটনা। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের আগেপরেও এরকম কয়েকটা ঘটনা আবছা মনে পড়ে। যাকে শূণ্য দশকের প্রথমার্ধে এমিরেটস এর চুটিয়ে ব্যবসা করার একটা কারণ বলে অনেকে মনে করেন। তারপর অনেকগুলি বছর গেলো। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান লাটে উঠেছে। ঢাকায় আরব দেশ আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু প্রতিষ্ঠাণ বাদে আর কোন আন্তর্জাতিক বিমান নামে না। বিমান বছর দুয়েক আগে কয়েকটা রুটে নতুন করে মূল্য প্রতিযোগীতা করে যাত্রী পাবার চেষ্টা করে আবারও খোঁয়াড়ে ঢুকেছে এই বছর। এদিকে ইউরোপেও উড়োজাহাজ কোম্পানীগুলি একের পর এক বিমান দুর্ঘটনায় প্রমাদ গুনছে। উড়োজাহাজের টিকেট কাটতে অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেছেন অনেকেই। একটা যন্ত্র আকাশে উড়ে যাবার পরেই জীবনটা ককপিটে থাকা সারেঙের হাতে। ভদ্রলোক প্লেনে উঠবার আগে কোথায় কী করে এসেছেন তার হিসাব কি সব সময় নেওয়া সম্ভব? যদি সম্ভব না হয় তাহলে মানুষ কোন ভরসায় জাহাজে করে উড়তে যাবে? ভাস্কো দ‌্য গামা'র যূগ কি ফিরেই আসছে?
২.
পলিটিক্স সিদ্ধান্তমূলক শাস্ত্র। চিরকালের নৈতিকতা জাতীয় ছাগুপ্রপঞ্চ সেখানে পরবর্তী কাচ্চির সম্ভাবনা ছাড়া কিছুই সৃষ্টি করে না। নৈতিকতা শব্দটাই অবৈজ্ঞানিক এবং আপত্তিকর। পলিটিক্স ক্ষমতা দখল/অর্জন এবং অনুশীলনের বিজ্ঞান। এখানে এক পক্ষের নিন্দা করলে কোন না কোন ভাবে অপর পক্ষের মুনাফার ভাগীদার হতেই হবে। বস্তুজগতে এই ডায়ালেক্টিকস থেকে মুক্তির রাস্তা আপাতত নাই। যদি দ্বন্দ্বমান দুইপক্ষের বিরুদ্ধেই থাকতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে বিবদমান দুই পক্ষের বাইরে প্রত্যক্ষ প্রয়োগবাদী অবস্থান দৃশ্যমান স্পষ্ট করতে হবে এবং প্রতি পদে পদে আপনি কেন বিবদমান দুটি পক্ষেরই বাইরে সেই কথা গণিতের যুক্তিতে প্রমাণ করতে করতে অগ্রসর হতে হবে। লেনিনবাদী পলিটিক্সে যাকে মতাদর্শিক আধিপত্য বলে।
সেক্ষেত্রে আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কার পক্ষে যাবেন। আসাদ না আইএস। কে বেশি খারাপ। বিবদমান দুইপক্ষকেই প্রত্যাখ্যান করা কোন প্রত্যক্ষ পলিটিক্যাল ফোর্স দৃশ্যমাণ নয়। সুতরাং আইএসের বিরোধি হলে আসাদকে আপনার সমর্থন করতেই হবে । আসাদের একনায়কত্বকে চ্যালেঞ্জ করার অধিকার সেক্ষেত্রে আপনি তখনই অর্জন করেন যখন আপনি আইএস খতমকে সমর্থন করেন। আর যদি আপনি আইএসকে আমেরিকাবিরোধি/সাম্রাজ্যবাদবিরোধি মনে করে থাকেন তাহলে ধরেই নিতে হবে আপনি হয় ছাগু নয় সাদা বাড়ির নিয়ামত প্রাপ্ত কিংবা দুটোই।
৩.
কামারুর ফাঁসী নিয়ে জাগলিঙে প্রথমে রাগই লাগছিল। পরে মনে হলো ভালোই তো। এভাবেই এই জানোয়ারটাকে কষ্ট দিয়ে দিয়ে মারা যাবে। সেটাও একটা বিরাট বিনোদন। সব চাইতে ভালো হয় কেউ যদি তার কানে দিয়ে আসে যে রাষ্ট্রপতির তাকে ক্ষমা করার অন্তত ৫০% চান্স আছে কিংবা আগামী রবিবারের মধ্যেই একটা ১৫ আগস্ট হতে যাচ্ছে আর তাতে সে আশায় বুক বাঁধলো তারপর সেই আশার উচ্চতম বিন্দুতে ঠাস করে জেলের লোক এসে তাকে নিয়ে গিয়ে টুক করে ঝুলিয়ে দিলো এইটার মজাই আলাদা। ৭ ঘন্টা ধরে অল্প জ্বালে প্রৌঢ় ষাড়ের মাংস কষানোর মতো।
চালারে কাদিরা ..... দেঁতো হাসি

1 comment:

Kafy said...
This comment has been removed by the author.