সবই প্রতিদিনের ঘটনা। আহার নিদ্রা পরিপাকের মত। ঘটনা ধরে ধরে আলাদা প্রতিক্রিয়ার কিছু নাই। বিশ্বাসী অবিশ্বাসী কিছু না। চাপাতি চলছে কলমের বিরুদ্ধে কীবোর্ডের বিরুদ্ধে। বাংলা ভাষায় লেখালেখি বন্ধ করা শেষ লক্ষ্য। সেটা ব্লগে হোক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হোক আর ছাপা মাধ্যমে হোক। বাংলা ভাষার লেখালেখির জগতটা অনেকের জন্যই সমস্যার। কখনো ধর্মের নামে কখনো জাতিসত্ত্বা/জাতীয়তার হাস্যকর জটিলতায় কখনো প্রমিতভাষা/বিনির্মাণ(!?) ইত্যাদি কেন্দ্র করে প্রয়োগবিমূখী ছাগুবিজ্ঞানের দোহাই দেওয়ার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে যেকোনভাবে একটা সংশয় সৃষ্টি করে লেখালেখির রাশ টেনে ধরা। লেখার প্রতিক্রিয়ায় লেখার বদলে চাপাতির ব্যবহারে লিখতে পারা মানুষ আতঙ্কিত হয়। আতঙ্কিত হয়ে কী করে? চাপাতি ধারকের স্বার্থ লেখা বন্ধ করা। কলমে/কীবোর্ড চালকের স্বার্থ লেখা চালিয়ে যাওয়া। একের পর এক লাশে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই এটা ঠিক না। বিষয়টা প্রবলভাবেই আতঙ্কের। লেখকদের এই আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে হবে। লেখকের জন্য সোজা সামনে ছাড়া আর কোন গন্তব্য নাই।
তাই আলাদা আলাদা করে প্রতিটা খুনে খুনকাঁদুনে হয়ে কুঁকড়ে গেলে ক্ষতি ছাড়া লাভ নাই। ভয় পান। পেতে থাকুন। ভয়ের ঠেলাতেই লিখতে থাকুন। আরো অনেক অনেক বেশি লেখা এবং লিখতেই থাকা ছাড়া কোথাও কোন সমাধান নাই। কোন কালে ছিলোও না।
পৃথিবীটা একটা নরকই। এই নরকেই টিকে থাকতে হবে। ইজি থাকতে হবে। ইজি থেকে লিখে যেতে হবে। কোনভাবে একবার যদি আপনার আঙ্গুল থেমে যায়, জয় তাহলে চাপাতিওয়ালারই হবে, আপনার কল্লাও বাঁচবে না।
মাভৈ:
1 comment:
Post a Comment