তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে আঙ্গুল গুলিও খুলি খুলি করতাছে। আসলেই খুলছে কিনা বুঝতে আরো মাস খানেক লাগবো। গত মাসের তুলনায় পরিস্থিতির উন্নতি বলতে সচল খুইলা ভুদাই হইয়া চাইয়া থাকার বদলে কিছু এক্টা লেখার জন্য মাথার লগে আঙ্গুলেও কিছু কুচুরমুচুর। এইটা যুবকের না ভামের অ্যাপেটাইট সেইটা হয়তো ভোলে বাবা জানতে পারে, আমি শিওর না।
১.
শিবিরের পোলাপান ঠোলার হাতে ধরা খাওয়া শুরু করছে। ক্যান জানি মনে হইতেছে একটু দেরী হইয়া গেলো। এই মনে হওয়াটা ভোটের পলো দিয়া ধরা যাইবো না। দুইটা ব্যাপার, এক হইলো এতে শিবিরের বিরুদ্ধে ক্রিয়াশীল হিসাবে শুধুমাত্র ছাত্রলীগরে দেখানোর একটা ফরম্যাট আছে। যেইটা ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক। আওয়ামী লীগ ৬২টা সীট পাক আর ২৩০টা সীট পাক ছাত্রলীগের পাবলিক ইমেজ জ্যামিতিক হারে নিম্নগামী। ছাত্রলীগের জন্য জনগণ আপ্লুত হবে এইরকম চিন্তা গাঁজার লগে ভাংপাতা আর ইউনক্টিনের জুস মিলাইয়া তার লগে তিনপেগ ব্রাস্কা মাইরাও কেউ কইবো না। এইটা আমি ফার্স্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞতা থিকা কৈতে পারি। আওয়ামী ভক্তরা প্যান্ট খুলার আগে জাইনা রাখেন ছাত্রলীগের ভালুপুলা বলতে আপনারা যাগো কথা কইবেন তাগো আমি চিনি। শুধু চিনি না জানিও। তয় তারা সংখ্যায় মাইর খাইয়া যায়। কারণ কমিটিতে পোস্ট পাইতে গেলে যা করতে হয় তাতে আমি যা কৈলাম তার অ্যান্টোনিম দাঁড় করানো যায় না। ছাত্রলীগ একটা ড্রাগন। এইখানে কোন বিতর্ক নাই। কেমনে তারা ভালো হইতে পারে সেইটা তারা বুঝবো। আমার তাতে বালও আসে যায় না। আমি যে ছাত্রলীগরে চিনি সেইটা একটা লুম্পেন সংগঠণ ছিল। খবরের কাগজে যা পড়ি তাতে তাগো সেই অবস্থানের কোন রকম কোন পরিবর্তন হইছে বইলা মনে হয় না।
দুই হইলো, ঢাকা আর জাহাঙ্গীরনগরে শুধুমাত্র গণপ্রতিরোধের জোরে শিবির ঠেকানো হইছিল সেইটা ছিল এই শুয়োরগো আইনের ফান্দে ফালানোর হাই টাইম। তাইলে ঠোলাগো যেকোন অ্যাকশানই একরকমের পপুলার লেজিটিমেশান পাইতো। এখনো যে পাইতেছে না সেইটাও জোর দিয়া বলতে পারি না। তবে আমি জাহাঙ্গীরনগরের যেই যূগের ছাত্র সেই যূগের মূল্যবোধ ছিল রাষ্ট্রের আইনের অপেক্ষা না কইরা সোজা লাত্থি মাইরা শিবির খেদানো। শিবির ঠেকানোর ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগরের মডেলটাই একমাত্র সঠিক এবং গ্রহণযোগ্য। যাইহোক রাষ্ট্র হয়তো সেইভাবে আগাইতে পারে না। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং প্রয়োগের প্রক্রিয়াটাতে যেহেতু জনগণই গিনিপিগ সুতরাং জনগণের অবস্থানের প্রতিক্রিয়া রাষ্ট্রের থিকা আলাদাই হইবো। এখন দ্রুত রাজাকার-আলবদরগো বিচার শুরু না করলে আমি যেই আশঙ্কা কইরা দেরী হইয়া গেলগা বলতেছি সেইটাই হৈবো। এই আর কি। আমার আর এই জীবনে জনগণের অবস্থান ছাড়া সম্ভব হইবো কিনা জানি না।
২.
সিপিবি আর ওয়ার্কার্স পার্টি অবশেষে জোড়া লাগছে। ২০০১ সালে একবার শোনা গেছিল। তখন কী মনে কইরা আর হয় নাই। এইবার ঠিক ওয়ার্কার্স পার্টি না রনো'র লগে কিছু লোক আইসা যোগ দিছে। এরা রনো-মেননের ওয়ার্কার্স পার্টির কত শতাংশ কে জানে। তাতে অবশ্য তেমন কিছু আসে যায় না। কারণ এক্সপায়ারী ডেইট পার হইয়া যাওয়ার পরে যতই খান ভিটামিন তখন পোতাইনা মুড়ি। গত সপ্তাহে সিপিবি-ওয়ার্কার্স পার্টির যৌথ ঘোষনায় রনো'র মুখে ঐতিহাসিক ভূলের কথা শুইনা গইড়াইয়া হাসলাম কতক্ষণ। সোভিয়েত রাষ্ট্র পতনের বিশ বছর আর গণচীনের ঐতিহাসিক ডিগবাজীর বত্রিশ বছর পরে ঐতিহাসিক ভূল স্বীকারের কাহিনি ঐতিহাসিক রসিকতার মতনই লাগে। এই ঘটনাটাই বিরাট একটা এক্সপোজার পাইতো যদি এইটা আপনারা ১৯৯১-৯২ তে করতেন। সেইটা না কইরা আপনেরা গত বিশ বছর ধইরা সবাই কখনো সামনের কখনো পিছনের দরজা দিয়া আপনেগো ভাষায় "বুর্জোয়া" রাজনীতির দালালি করছেন। এখন ঐতিহাসিক ভূলের গুল মারলেই পাবলিক তা বিশ্বাস করবো এই ভরসা পাইলেন কৈ থিকা?
তবে একটা দরকারি কাজ এক্সপায়ারি ডেইট পার হওয়ার পরেও কখনো কিছু গুরুত্ব রাখে। সেইমতো ভদ্রতা কইরা তাগো একটা ধন্যবাদ দেওয়া যাইতারে। শুধু ধন্যবাদ না মোটামুটি একটা অভিনন্দনও দেওয়া যাইতে পারে। মরনোত্তর পুরস্কারের মতন। মাথায় তাওয়া দিয়া বাড়ি মাইরা অপটিমিস্টিক থাকার চেষ্টা কইরা সেই অভিনন্দনটাই দিলাম। এর বাইরে যা মনে আইতাছে সবই রং তামাসার কথা। সেগুলি এখন বাদ দিলাম ২০০১ সালে কাস্তে মার্কায় ভোট দিছিলাম বইলা। কাঁচি মার্কায় ভোট দেওয়ার মূলে ছিল নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত। ঘটনা চক্রে সেদিন ভোট কেন্দ্রে গেছিলাম। ঢাকা ৯ থিকা খাড়াইছিল মকবুল আর খন্দকার মাহবুবউদ্দিন। দুইজনের একজনেরও আমার ভোট পাওয়ার যোগ্যতা ছিল না। নৌকাধানেরশীষ বাদ দিয়া তাই কাস্তে মার্কায় সীল মারলাম। তবে এইটাও ভুইলা গেলে চলবে না যে ঐ সীল মারার উদ্দেশ্য ছিল ভোটটা নষ্ট করা। ঐ ভোটটা জেনুইন পাইতে যা করা লাগে তা করার অন্তত নিয়ত আপনাগো আছে এরকম কথা ভাবার মতো কল্কি কি আপনারা সাজতে পারবেন? পরিসংখ্যানের গুষ্টি মাইরা ধইরা নিলাম থাকলেও থাক্তারে। সেই সম্ভাবনার জাগা থিকা অভিনন্দন। তবে বাম হাত মুঠ কইরা উপরে তুললাম না। সেইটা তুলুম না তুলুম না তার জবাব ভবিষ্যতই দিবো।
৩.
জয় আওয়ামী লীগে যোগ দিছে। তারে আবার বিএনপিও অভিনন্দন জানাইছে। এগুলা কোন ঘটনা না। ঘটনা হইলো জয় সাহেব দেশে ফিরাই জ্ঞানের পোটলা খুইলা বইছেন। পরিবারতন্ত্রের পক্ষে রীতিমতো তত্ত্ব ঝাড়ছেন। পৈড়া খুব ভাল্লাগলো। এমন ভালো লাগলো যাতে বলা যায় যে "ভাল্লাগসে".........
৪.
চন্দ্রবিন্দুর গান জাহাঙ্গীরনগর যূগ থিকাই শুনছি টুকটাক। শুইনা অন্য আর দশটা ব্যান্ডের মতোই লাগতো। কিন্তু কেমনে কেমনে জানি চন্দ্রিলের গানগুলি বাদ পইড়া গেছিল। শুইনা মনে হইলো আঁতেল ভট্টাচার্যের এরকম বিলম্বিত আবিস্কারের জন্য আমার আদি গঙ্গায় ডুইবা মরা উচিত। চন্দ্রিলের একটা গানই শেয়ার করলাম শেষ মেষ :
|
No comments:
Post a Comment