গত আড়াই দিন ধরে টানা রোদ পাচ্ছি। তবে ঠাণ্ডা কমার নাম নাই। কারণ গত শুক্রবার রাতে সর্বনাশ যা হবার হয়ে গেছে। রাত দশটা থেকে ভোর চারটার মধ্যে সপ্তাহখানেকের তুষার একসাথে পড়েছে। তারপর শুরু হয়েছে প্রকৃতির আরেক খাইস্টা রাজনীতি। ভোরবেলা থেকে সকাল দশটা সাড়ে দশটা পর্যন্ত মাইনাস সাত-আট আর তারপরে ফটাশ করে প্লাস শুণ্য থেকে এক-দুই। তুষার গলে রাস্তাঘাট মোটামুটি কাদা হতে হতে আবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ হিমাঙ্কের নিচে। ফলাফল ঐ কাদাগুলি তখন তুষারের বদলে বরফ। আর তাতে একটা আছাড় খাওয়া মানেই সচলায়তনের ব্যানার হবার দিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। শুধু তাই না। দিনে যতক্ষণ তাপমাত্রা হিমাঙ্কের উপরে ততক্ষণ ঝিরঝির বাতাস। গলন্ত তুষার/বরফের পুরো আঁচটাই তখন পথিককে রোমাঞ্চিত করে। ঝকঝকে রোদের মধ্যেও তাই বের হতে হয় অ্যাস্ট্রোনট সেজে ঠকঠক কাঁপতে কাঁপতে।
১.
রাষ্ট্রের মাথাদের বেতন দ্বিগুণ হয়েছে। হতেই হবে। দ্রব্যমূল্য ফকিন্নির পুতদেরই পিষে ফেলছে আর এঁরা হলেন সমাজের বাড়া। এঁদের মাথায় গোটা রাষ্ট্রের দায়। এদের খাটুনির দাঁস্তায়ে শুনে কুমিরের মতো কেঁদে ফেলি। কত কষ্ট! রক্তে উচ্চমাত্রার চিনি নিয়ে সংসদে মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে হাইপার উত্তেজনায় কেঁপে কেঁপে উঠতে হয়। তারপর একেকটা চেয়ারেরও তো ওজন আছে। এতো আর সুড়কির বস্তা না!
খান মামারা ভালো কইরা খান। প্রোটিনটা ঠিকঠাক খান। পাবলিকের অন্তত কার্বোহাইড্রেটের ব্যবস্থাটা কইরেন। না করলে আর কী করবেন। পরের সেশন তো আছে! আগের সেশনের উপর দোষটা চাপাইতে পারলেই হবে। সেইটাও তো কম শ্রমের না!
ও আমার দ্যাশের মাডি!
তোমার পরে টাহাই মাতা!
২.
পাকিস্তানের ক্যাপ্টেনসহ কয়েকজন একলগে ধরা খাইছে। এই একটা দেশ যারা খেলায় হারলে দেশে তদন্ত কমিটি হয়। অন্য কোন কোন দেশেও হয়তো কখনো হইছে বা হয় নাই শিওর না। কিন্তু পাকিস্তানে এইটা একটা নিয়মিত বিষয়। এর আগে ১৯৯৯ তে একবার সবকয়জন একলগে ঘুষের মামলায় ফাঁসছিল। সেইবার জলপাই মোশাররফ আইসা সবাইরে শফিউল আলম প্রধাণ বানাইয়া দিছিলো। দেশই একটা মাইরি!
এই খবরে ছবিটা দ্যাখেন। কার কথা মনে হয় কন্তো?
সুখবরের আকালের এই যূগে পাকিস্তানের কোথাও কোন ক্ষতি হইছে শুনলে ভালো লাগে .....
৩.
মাশরাফির মুম্বাই গমন আর রকিবুলের রিটায়ার নিয়া আর কিছু কইতে মন চাইতেছে না। ক্যানজানি মনে হয় পুরা ব্যাপারটাই বোর্ড ইচ্ছা করলে ঠ্যাকাইতে পারতো ....
৪.
ব্লগ নিয়া কয়েকদিন আগে সচলে অনেক কথা হইলো। ব্রাহ্মণমাধ্যমে টুকটাক পরিচিত কেউ কেউ তাগো সুখটাক বাঁচাইতে গইড়াইয়া কান্দা শুরু করছে। কয়দিন পর মনে হয় মাডি থাবড়ানিও শুরু হইবো। কলুকূলগুরুরা এই নাভিশ্বাস তুলায় ভালোই লাগে। যারা আগে ব্লগের কথা জানতো না বা জানলেও তেমন পড়তো টরতো না তারাও এইবার ব্লগে উঁকি দেওয়া শুরু করবো। আমি তাঁদের উৎসাহই দিমু। যত পারেন ব্লগের বিরুদ্ধে লেখেন। আমি আছি আপনাগো লগে।
আউফ দ্দীণূ!
No comments:
Post a Comment