আবার আঙ্গুলগুলা কাইণ্ঠামি করতাছে। সচলে আইসা আইসা ঘুইরা যাই মাগার হাত চলে না। মাথাও না। একরকম সর্বগ্রাসী স্থবিরতায় পাইয়া বইছে। এইটার কোন সমাধান পাইতাছি না। লেবুর পানি আর দুধচিনি ছাড়া সস্তা ফিল্টার কফি বহুত খাইলাম। তাতে ডিপ্রেশন আরো বাড়ছে। কারণ? এই দুনিয়ায় মন খারাপ করার মতো কারণের অভাব আছে?
১.
জার্মান টাইম সকাল থিকা মনমেজাজ আরো খারাপ। আনু মুহাম্মদের উপরে এই হামলা নতুন কিছু না। গতবার আওয়ামী লীগের আমলে একবার পার্টি অফিসের সামনে ককটেল মারা হইছিল। জোটসরকারের আমলে চাক্কু মারা হৈছে। বাকি ছিল পুলিশী হামলা। এইবার সেইটাও হইলো। স্যার যা করতে বা যা কইতে গেছিল তাতে সরকারের পোঁড়ায় ঠিক কোন পয়েন্টে? মাইর দিয়া কি সেই পোঁড়ানি উপশম হইবো বইলা সরকার মনে করে? ফুলবাড়ি কি একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল?
একটু আগে ফেইসবুকে শামীমা বিনতে রহমানের স্ট্যাটাস থিকা জানলাম স্যারের দুই পায়েই ফ্র্যাকচার হইছে। এইটারে টার্গেটেড স্টেট টেরোরিজম ছাড়া কী কমু? স্যার সুস্থ হইয়া উঠেন। এই পাঁচশো লোকের মিছিল একদিন হাজার ছাড়াইয়া লাখে উঠবো।
২.
গত সম্পাহান্তে জশনেজুলুছে বিশাল সমাবেশ। অনেকদিন পরে এইরকম একটা সমাবেশ দমবন্ধ অবস্থা থিকা বাইর হইয়া এক খাবলা তাজা বাতাসের মতো। সচলের জন্মের পর থিকা জার্মানীতে এইটাই বৃহত্তম সচলাড্ডা।
প্রথম দিনের গ্রীল পার্টি, দ্বিতীয় দিনে হেরকুলেস ভ্রমণ আর আমার বাসায় সমাপনী সমাবেশ দীর্ঘদিনের জন্য একটা খাউজানোর মতো স্মৃতি হিসাবে থাইকা যাইবো। জীবনে সুখস্মৃতির আকাল তো আর কাটতাছে না সহজে ........
৩.
এই মাসের শেষে জার্মানীতে জাতীয় নির্বাচন। কয়েকমাস ধইরা সব মিডিয়া গুলি ক্রিশচিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন আর ফ্রি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কোয়ালিশনের সম্ভাবনার কথা কইতে কইতে যখন মুখে ছেবড়ি তুইলা ফালাইতাছে সেই অবস্থায় গত রোববার দিন যারলান্ড, থুইরিঙেন আর যাক্সেনের প্রাদেশিক নির্বাচনের ফলাফল মিডিয়ার শেঠগো মুখে একরকম স্ট্যাপলার মাইরা দিছে। তিন প্রদেশেই বামপন্থীরা গড়ে ২০% এর উপর ভোট পাইয়া সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিরে কাচকি দিয়া ধরছে। যাক্সেনে সিডিইউ কোন মতে এফডিপির সাথে কোয়ালিশন কইরা সরকারে গেলেও থুইরিঙেন আর যারল্যান্ডের এসপিডিরে বামপন্থীদের সাথে কোয়ালিশনের ব্যাপারে একরকম গলায় পাড়া দিয়া ধরছে। হইতে পারে এইটা নিতান্তই রিসেশনের প্রভাবে একরকম লেফট ব্লো। পকেটে আবার ভালোমন্দ আইলে এই বামজ্বর সাইরা যাইবোগা। কিন্তু জ্বর থাকতে থাকতে অন্তত যদি ন্যুনতম মজুরির আইন আর এ্যাঙলো-স্যাক্সন মডেলে উচ্চশিক্ষার বিপনন কিছুটা বিলম্বিতও করতে পারে তাইলেই বা কম কিসে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতন অতিসভ্য বামমুক্ত দেশে থাকিনা এইটা ভাইবাও যদি এই বাজারে মন একটু ভালো লাগে .......
৪.
জুবায়ের ভাইকে নিয়ে মেহবুবা জুবায়ের এর পোস্ট পড়ে থম ধরে ছিলাম। কীভাবে একটা বছর চলে গেল। কিছু শোকের প্রকাশ বাক্যে করা মুশকিল। হয়তো এটা ভাষারই সীমাবদ্ধতা কিংবা আমার। জুবায়ের ভাইয়ের চলে যাওয়ার ভোঁতা কষ্টটা শ্বাসনালীতে সেইভাবেই চেপে আছে। থাকবেও। অন্তত যতদিন তাঁর প্রকাশ্য এবং ব্লগীয় সান্যিধ্যে আসা সামান্য মানুষেরা বেঁচে আছি ....
No comments:
Post a Comment