না রে ভাই আমার লগে তর্কটর্ক কইরা লাভ নাই। আমি কাউরে ডিফেন্ড করতে আসি নাই। কারো কারো যেমন আইয়ুব বাচ্চুর গান ভালো লাগে গণবিপ্লবের ইতিহাসগুলা হয়তো আমার অনেকটা ঐরকমই। ভাল্লাগছে তাই শেয়ার করলাম। কারো ভালো না লাগতেই পারে। এইটাতো মুল্টিকুল্টির যূগ। তাছাড়া দিনকাল পাল্টাইয়া গেছেগা। আর দুইদিন পরে ভার্সিটিগুলাতে আইটি আর বিজনেস ছাড়া আর কিছু পড়ানো হইবো না। কারণ আর কিছুর তো দরকার নাই। ক্রিটিক্যাল সায়েন্স বইলাও কিছু নাই। থাকলেও সেইটা বাতেনি। শ্রেণী বইলাই কিছু নাই তার আবার শ্রেণী সংগ্রাম। কিছু সামাজিক অসমতা আছে। তার বেশীর ভাগই প্রাকৃতিক। বাকিটা জনসংখ্যা আর অশিক্ষার ফল। একটা ভালো বাণিজ্য চুক্তি হৈলেই সব ঠিক হইয়া যাইবো। ভালো বাণিজ্যচুক্তি ক্রমে আসিতেছে .........
আর গণবিপ্লবই বা কারে কই? সব তো ক্যাওস! সবই নেপোয় মারে দৈ। প্রানীজগতের ইতিহাসে পরিবর্তন ঘটানোর কোন রেকর্ড নাই। এইখানে সবই জৈবিক পরিবর্তন। নিয়ন্ত্রণহীন। যারে কয় লেসেঁ ফেয়ার। উপনিবেশ স্থাপনও তাই। পুরা ব্যাপারটাই আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে। সুতরাং স্বাধীনতা সংগ্রাম একটা ভ্রান্ত ধারণা। ম্যাশিং যা বসার পশ্চিমে অলরেডি বইসা গেছে। বাকি দুনিয়ার কাম খালি ঐ ম্যাশিঙে ফুয়েল জুটানো আর নিজেরা বাজার হিসাবে ব্যবহৃত হওয়া। উন্নয়ন মানে বাজারে পণ্যপ্রবাহ আর নিম্নমধ্যবিত্তের ব্যায়ের অভ্যাস বাড়া এবং সেইটারে প্রতিদিন আরো বেশী কৈরা বাড়ানো। আর তাতে নিম্নআয়ের মাইনসের জিবলা বাইর হইয়া গিরায় নামলে এক্টা হলিউড ভেটকি মাইরা বলা, দিস ইজ লাইফ ......
পরিবর্তনের চেষ্টাগুলি যারা করছে তারা আজকে নরকের আজাবে আছে। রাশিয়া, চীন, কিউবা, ভিয়েতনাম সবাই। এরা গেছিল খোদার উপর খোদগারী করতে। ঈশ্বর যাকে খুশী ধোন্দেন যাকে খুশী পোন্দেন। ধণী-দরিদ্র প্রকৃতির সৃষ্টি। এইখানে প্রকৃতি যা ঈশ্বরও তাই। খালি সুবিধামতো ক্যাসলিঙ কৈরা দিলেই হইলো। আর প্রকৃতি মানেই বিজ্ঞান। আর বিজ্ঞান মানেই প্রযুক্তি অর্থাৎ বিক্রেতার সুবিধামতো পণ্যউৎপাদন এবং বিপনন বিষয়ক ম্লেচ্ছভাষায় ল্যাখা মুটা মুটা অভিসন্দর্ভ। যেইসব অর্থনীতিবীদরা নোবাল পুরীষ্কার পায় নাই তাগো বই পড়া আল্লাহ কিংবা এম্রিকা কেউই সহ্য করবো না। যেহেতু শোষনমুক্ত সমাজ তৈরীর চেষ্টা পুরাব্যর্থ হৈয়া গেছে সুতরাং বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার কোন রকম মৌলিক সমালোচনা করা যাইবো না। সমালোচনা ওয়েলকাম কিন্তু ঠিক ততটুক যতটুকে বর্তমান লাভবান লোকগুলির (শ্রেণী বইলা যেহেতু কিছু নাই) কোনরকম ডিস্টার্ব না হয়। জোরে কথা বলাও নিষিদ (ওদের সামনে পরীক্ষা...) .....
এইগুলি আমি সব স্বীকার করি সব বুঝি বুইঝা মারাত্মক রকমের ইজি আছি। ব্লগে বইসা যা কই আর লিখি সবই সেই গুয়ামারাখাওয়া ইজিদশার রকমারি প্রলাপ ......
বিংশ শতাব্দীতে কিছু পাগলছাগলের ধারণা হইছিল, শিল্পায়ণরে উন্নয়নের প্যারামিটার ধইরা শিল্পে অনুন্নত অর্থে অনগ্রসর এলাকায় ম্যাশিঙপত্র বসাইলে বুঝি সেই এলাকাগুলার লোকের দারিদ্র যাইবোগা আর তাতে এতোদিন ধইরা যারা উন্নতি করছে (ঐসব পাগলছাগলের ভ্রান্তধারণা অনুসারে অনগ্রসর এলাকার মানুষরে শোষন কইরা) তারা কোণঠাসা হইয়া যাইবো, পুঁজিবাদী সম্প্রসারণের বিপরীতে সমাজতান্ত্রিক সম্প্রসারণ রেনেসাঁ আর ফরাসী বিপ্লবের পবীত্র অর্জন ধোনতন্ত্র ফুরিয়া যাইবোগা। ধারণাটা কতো ভুল এখনতো দেখাই যাইতেছে ......
তারপরেও সেই পাগলছাগলগুলা ঐসব পাগলামী কথায় যেইসব গরীব মাইনসেরে খ্যাপাইছিল তাগো মধ্যে যারা বর্তমান সমৃদ্ধ বিশ্বব্যবস্থাতেও "লুজার" , তাগো পক্ষে শোষণমুক্তির ঐ কূহক বিভ্রম ফট কৈরা ভুইলা যাওয়া প্রকৃতির নিয়মেই এক্টু কঠিণ। এইটা কিছু না। সময় দেন তাইলেই যাইবো গা। যেকোন বড় অসুখ সারতে টাইম লাগে .....
ঐ রোগ আমারো আছে। পকেট ফাঁকা বৈলাই আছে। ঐ রোগের আছরেই মাঝে মধ্যে ভুলভাল বকি ....
এই যেমন আইজকা সকাল থিকা বকতাছি।
আইজ থিকা ঠিক ৬০ বছর আগে তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে এই ঘোষনাটা দিছিল
আমি জানি এইখানে ১৯৮৯ সালে গুলি কইরা ১০০০ ছাত্র মারা হইছিল....আমি জানি চীনে ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট পার্টির বদলে কুওমিন্টাঙ গদীতে বইলে পুরা চীন্টাই তাইওয়ান হইয়া যাইতোগা আর তাইওয়ান্টা এম্রিকা .... আমি জানি মাও সে তুং শুধু ডাকাইতই না এক্টা মুর্খও ছিল...এবং মাও সে তুঙের রচনা বলতে আমরা অবশ্যই তার কিছু মিলিটারি রাইটিঙ আর মহাধান্দু লীন পিয়াও সম্পাদিত সতের পাতার রেডবুক নামের ছাগুপুস্তিকারেই বুঝবো....
এই সবকিছুর পরেও মনে হইতেছে... হইলো তো ষাইট বছর। এই ভ্রান্তধারণা আর বেশীদিন নাই।
এইটা তো বিজ্ঞাপনের যূগ তাই না? হোক না হোক সত্যিমিথ্যা পিপলস্ রিপাবলিক নামটা আছে অন্তত ... সেইটাই বা কম কি?
2 comments:
আপনি লিখেছেন "চীনে ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট পার্টির বদলে কুওমিন্টাঙ গদীতে বইলে পুরা চীন্টাই তাইওয়ান হইয়া যাইতোগা আর তাইওয়ান্টা এম্রিকা"
আমার প্রশ্ন হলো 'কুওমিন্টাঙ' কে? তার নাম তো জানতাম না।
aR
www.banglahacks.com
http://en.wikipedia.org/wiki/Kuomintang
Post a Comment