Wednesday, July 23, 2008

জাহাঙ্গীরনগরের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন ১৯৯৮

ধর্ষণের ঘটনা বহুদিনের পুরনো । তবে আগেকার ছাত্রনেতা রা বিশেষত ৯১-৯৬ এ ক্ষমতায় থাকাকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাদের মধ্যে যাদের বিচিতে সমস্যা ছিল তারা গার্মেন্টস থেকে ক্যাম্পাসের উপর দিয়ে বাড়ি ফেরা শ্রমিকদের উপর চড়াও হতেন অথবা ভাড়া করে নিয়ে আসতেন । ছাত্রীদের উপর আক্রমণের প্রবণতা মাঝে মধ্যে দেখা দিলেও সেটা বেশীদুর এগুতো না অথবা সংশ্লিষ্টা বিষয়টি চেপে যেতেন । ৯৩ বা ৯৪ তে একবার কল্পনা নামের একটি ...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

জাহাঙ্গীরনগরের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন ১৯৯৮ (রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট)

এক কিস্তিতে শেষ করতে পারবো কিনা জানিনা । আর আমার চাইতে বেশী করে এবং কাছ থেকে যারা আন্দোলনকে দেখেছেন তারা আরও ভালো বর্ণনা করতে পারতেন । এই ব্লগে দুজনকে চিনি যাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল । তারা হয়তো কখনও আলাদা পোস্ট করে বা নিদেন পক্ষে সম্পুরক মন্তব্য দিয়ে আমার অস্পূর্ণতাকে মেরামত করতে পারবেন । আমি রাজনীতি না করায় এবং জার্মান শিক্ষার্থে দুপুরের বাসে ঢাকায় চলে আসায় আমার অংশগ্রহণ ছিল ছাড়া ছাড়া । আর ...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

অণুগল্প : : বাড়ির ভাত খেয়ে

কলিং বেলে টিপ দেবার জন্য হাত তুলতেই চোখে পড়লো দরজার উপর নোটিশ :জরুরি কাজে বাইরে যাচ্ছি। আজ ক্লাস হবে না। সামনের শনিবার বিকালে রিকাভারি ক্লাস।সকাল থেকে কলেজের পর এই দুপুর রোদে ঘামে চুপচুপ হয়ে কেমিস্ট্রি পড়তে এসে পড়া না হলে ভালোই লাগে। কিন্তু যাবো কোথায়? বাইরে বাঙ্গীফাটা রোদ। রাস্তায় নেমে হাঁটতে হাঁটতে পুরনো এলিফ্যান্ট রোডের কোনায় এসে দেখি গরম গরম পাকোড়া ভাজা চলছে। ডিমসহ পাঁচ টাকা ডিম ছাড়া তিন টাকা...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

টোপ দিলেই যে কেঁচো মাছ খেয়ে ফেলবে তার গ্যারান্টি কী? ১১

সেইদিন ঠিক কোন সময় কিভাবে মুমুদের বাড়ি ফিরেছিলাম তার স্মৃতি অস্পষ্ট। মনে আছে মাসীর ঘর থেকে বের হয়ে বান্দরবান শহরে সন্ধ্যার ঝিরঝিরে বাতাসে ইজি লাগবার কথা। মংশাই বললো এইখানে মাতলামী করলেও অসুবিধা নাই। কেউ কিছু বলবে না। উস্টা খেয়ে পড়লে জনগণ বাড়ি পৌঁছে দেবে। আমরা ভরসা পেলাম। রাজার হবু শালা বলে কথা। কেউ কেউ বলেন ঝিরঝিরে বাতাসে নেশা কাটে। আমার অভিজ্ঞতা বলে, তাঁরা ভুল বলেন। আমার অভিজ্ঞতায় দেখি আদুরে ...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

টোপ দিলেই যে কেঁচো মাছ খেয়ে ফেলবে তার গ্যারান্টি কী? ১০

শেষের খানিকটা পথ ট্রাকে চলে এলাম। বান্দরবানে ঢোকার আধাঘন্টার মতো আগে সামনে ইটের দেওয়ালে চিকা মারা দেখে বুঝলাম সভ্য জগতে এসে গেছি। যেখানে গতকাল সকালে হরতাল ছিল। শহরে ঢুকবার পরে লোকমুখে শোনা গেল হরতাল আরো একদিন আগে বেড়েছে। কারণ সাদেক হোসেন খোকার নাকি গুলি লেগেছে। গত দুদিন প্রকৃত মানুষের জগত থেকে ফিরে এইসব কচকচি আর ভাল্লাগছিল না। আমরা বান্দরবান শহরে এসে যখন নেমেছি তখন প্রায় সন্ধ্যা ছটা বাজে। ফেরার ...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

টোপ দিলেই যে কেঁচো মাছ খেয়ে ফেলবে তার গ্যারান্টি কী? ৯

তারপর মোটামুটি মিনিট ত্রিশেক পরে একটা অসমাপ্ত বাজার। সেই বাজারের কোন এক দোকানে বসে চা খাওয়া গেল। তারপর ধীরেসুস্থে নড়েচড়ে রওনা দিলাম গেস্টহাউসের দিকে। গেস্ট হাউসের বারান্দায় উঠে দেখি কেউ নেই আশে পাশে। পাটাতন থেকে নেমে বেশ খানিকটা গেলে তারপর একটা ছোট অফিস মতোন। আমাদের তিনজনকেই তখন ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় প্রকৃতি ডাকছে। আমরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে উশখুশ করছিলাম, কিভাবে গেস্ট হাউসে রাত্রিবাসের কথাটা পাড়া যায়।...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

টোপ দিলেই যে কেঁচো মাছ খেয়ে ফেলবে তার গ্যারান্টি কী? ৮

হার্ডব্রেকে চোখ খুলে দেখি একটা কাটা পাহাড়ের নিচে বাস থেমে আছে। কাঠবডি বাস থেকে লোক নামাও একটা ঝক্কি। সব একসাথে নামতে চায়। যাই হোক। কোন একসময় নামতে পারলাম। তারপর কোথায় যাবো? আমি আর সেলিমভাই অতীতে কখনো এই মুল্লুকে আসি নাই। জয় যেদিক নিয়ে যাবে সেদিকই যেতে হবে। একটা রিক্সা নিয়ে কিছুদুর যাওয়ার পরে ছেড়ে দেওয়া হলে আমাদের সন্দেহ হলো। জয়কে ধরা হলো, আসলেই সে মুমুদের বাসা চেনে কিনা। জয় নানাভাবে আঁকিয়েবাঁকিয়ে...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

আস্তা সিয়েম্প্রে কমান্দান্তে

নব্বই এর শুরুতে তুমুল মুর্তি ভাঙাভাঙির পরে লেনিনের ঠাঁই পাকাপাকি হলো শুধু পাঠাগারে। বহু পাঠাগার থেকে তাঁকে কেজি দরেও বিদায় করা হলো। বেড়াল তাত্ত্বিকদের কল্যাণে মাও হারিয়েছেন আরো কিছু আগে। বিপ্লবের আইকন দুরে থাক আমরা যারা নব্বুই এর শুরুতে বড় হতে শুরু করেছি বিপ্লব জাতীয় শব্দ উচ্চারণ করাও তাদের জন্য একরকম হারাম ছিল বহুদিন পর্যন্ত। শুধু একটা ছবিই ছিল যেটা আপাত: নির্বোধ প্রজন্ম অন্তত অস্পষ্ট ইতিহাস ...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

টোপ দিলেই যে কেঁচো মাছ খেয়ে ফেলবে তার গ্যারান্টি কী? ৭

আমার জীবনে কোন নাটক নেই। কোন ড্রামা নেই। নিজ থেকে বড়ই গাছে না চড়লে গায়ে কাঁটাও বেঁধে না। আমার ঈশ্বরও নেই যে সালিশ বসাবো। পুরুন্দর ভাটকে স্মরণ করে তাই মাল খাই আর স্মৃতি চিবাই চুপচাপ। পুরুন্দর ভাট নামে কোন এক স্বল্প পরিচিত শক্তিমান লিখেছিলেন,আমার জীবনে নাই কেন কোনো ড্রামাতাই দিব আমি কার্পাস ক্ষেতে হামাআমার জীবনে নাই কেন কোনো ড্রিমটিকটিকি আমি, পোকা খাই, পাড়ি ডিমআমার মরণে হয় না তো হেডলাইনপ্রাসাদ ...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

হাদিয়া মওকুফ.....পাদ্রী বেওকুফ

গতকাল দুপুরে হিমু মিয়া ফোন করে তেহারি খাওয়ার সম্ভাবনা যাচাই করছিল। এমনিতে ভুড়ি আর গোমাংসের মূল্য, দুটোর বেখাপ্পা উর্ধ্বগতিতে কিছুকাল (অনুর্ধ্ব দু হপ্তা) গোমাংস ভক্ষণে বিরত ছিলাম। তবে বলে কিনা বামুনের প্রতিজ্ঞা চন্ডালের পোষায় না। তেহারির নাম শুনে মন হু হু করে উঠলো। তো হলো শেষ পন্ত। বিকেল থেকে শুরু করে রাত আট্টা নাগাদ আর দেখি নড়তে চড়তে পারি না। তারপর হামটিডামটির মতো দেয়ালে না বসে গুটিগুটি হেঁটে ...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

টোপ দিলেই যে কেঁচো মাছ খেয়ে ফেলবে তার গ্যারান্টি কী? ৬

তারপর সমাবেশ শেষ হতে থাকে। আমাদের ঝরে পড়ার দিন আসে। অনবরত তাড়া খেয়ে সরে যেতে থাকি আপাত অপ্রত্যক্ষে। সেঁটে যাই বা যেতে চাই পুরনো দেয়াল কিংবা তালের গুড়িতে। আমাদের মধ্যে চিৎহয়ে পড়ে থাকি আমি। কাগজে আঁকিবুকি চলতেই থাকে। কেউ কেউ নড়ে চড়ে। রা কেড়ে এনে গিলে খায় কেউ। শেষ মেষ ভেউ ভেউ কেঁদে ফেলে ওরা আর আমি বেড়ালের মুখে ধরা ইঁদুরের মতো হুররে বলে কুটি কুটি হতে থাকি।নতুন করে আবার কবিতায় ধরে। এবারে আমি অতি ...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

টনি

নাম তাঁর আন্তোনিও আচিলা। ভক্স ওয়াগনের কারখানায় কামলা দিতে গিয়া পরিচয়। বাড়ি নাইজেরিয়া। গায়ে যথারীতি অসুরের মতো শক্তি। প্রায়ই ভারী কাজ করতে একজায়গায় দুতিনজনকে লাগানো হয়। সবকয়টা ফোরম্যান তালে থাকে যাতে কালা আদমীদের দিয়ে ভারী কাজগুলি ধুমধাম করিয়ে নেওয়া যায়। আমার কপালে অবশ্য মাঝেমধ্যে হালকা কাজ জোটে। তখন টেবিলে বসে চীনা ছেমড়িদের সাথে স্ক্রু,সুইচ,রোলার ইত্যাদি প্যাক করি। কখনো কাজের চাপ বাড়লে গায়ে গাউন ...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

নিয়মিত লেখা আর ব্লগের লেখা ৩

বাংলা ব্লগাবর্তের বয়স বেড়ে চলেছে। শৈশব পেরিয়ে দেখা যাচ্ছে কিশোরের মুখে গোঁফের আভাস। বয়:সন্ধিক্ষণের অসীম সম্ভাবনায় ছটফট করছে সদ্য কিশোর। প্রফিট মেকানিজমের বিরূপ প্রতিবেশের সাথে মরণপণ লড়াই করে তাঁকে তিল তিল বেড়ে উঠতে হচ্ছে। লড়াই এর মাঠে সে নির্বান্ধব। কুশলী লেখকের কলম চালনার এযাবৎকালের তাবৎ প্রতিষ্ঠিত পাটাতনগুলি, ইচ্ছানিরপেক্ষ অবস্থান থেকে তাঁর শত্রু। সদ্যজাত শিশুর মুখ দেখে জন্মমুহুর্তে আলোড়িত হওয়া...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

পাগলা মাসুদ

বহুদিন পর গতকাল দুপুরে পাগলা মাসুদের সাথে দেখা। শুনলাম ফ্রাঙ্কফুর্টে নানান ঝামেলায় পড়ে শেষমেষ স্টুটগার্টে আছেন। কাসেলে এসেছেন পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করতে। এসেই যথারীতি স্টেয়ার্ণের মোড়ে নতুন ক্যাসিনো, ক্যাসিনো রয়্যালে ঢুকে গোটা কুড়ি ইউরো খুইয়েছেন। মাসুদ ভাইয়ের গল্প বলেছিলাম বহুদিন আগে অন্য কোথাও। সচলের সকলে না পড়লেও অনেকেই পড়েছিলেন। বহুদিন পরে দেখা পেয়ে আবার ইচ্ছে হচ্ছে তাঁর গল্প বলতে। কারণ ...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

আরো এক খাবলা অণুগল্প

১.মোকলেস সাহেবের সাথে আসগর সাহেবের জমিজমা ঘটিত গ্যাঞ্জাম অনেকদিনের। কিছুদিন আগে আজগর সাহেব সাবেক ক্ষমতাসীন দলের সহায়তায়, মোকলেস সাহেবের বাড়ির পেছনে পূবদিকের প্রায় কাঠা দুয়েক জায়গা দখল করে ফেলেন। সরকার বদলানোর পরদিন থেকেই মোকলেস সাহেব আজগর সাহেবের বাড়ির সামনের খোলা মাঠ থেকে খানিকটা মেরেদেবার মতলব অল্পজ্বালে ভেজে চলেছেন।এমতাবস্থায় আজগর সাহেব একদিন সকালে বিছানা থেকে গা তুলে স্বভাবমতো জানালা দিয়ে ...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

গল্প : : নির্বাণ

চার নম্বর ট্রাম ধরে যখন কোয়নিগস্ প্লাৎসে পৌঁছলাম তখন রাত সোয়া বারোটা। আমার ডেরা আর মাত্র দুটো স্টপেজ পরে। ট্রাম দাঁড়িয়ে থাকবে এখানে আরো পাক্কা দশমিনিট। খাওয়া হয়েছে ফাটাফাটি। রুইমাছ ভুনা, গরু ভুনা, উৎকৃষ্ট ডাল, পাঁচমিশালী সব্জি....রীতিমতো আকণ্ঠ খাওয়া যাকে বলে। শরির ছেড়েই দিয়েছিল। শেষ ট্রাম মিস করার ভয়ে ধুপধাপ নেমে আসতে হয়েছে। ট্রামে জায়গা পেয়েছি মুখোমুখি চারজনের সীটে। ভুড়িটাকে সীটের সাথে পয়তাল্লিশ...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

অণুগল্প : : মজমা

".....তারপর...." মিনারেল ওয়াটারের বোতল থেকে কয়েক ঢোঁক কলের পানি মেরে বললাম," ঐ যে...ই হৈছে....আমাদের ডাইন দিকের কোণাকুনি বাসার ফওজিয়া - ""কোন দিক থিকা ডাইন দিক?" প্রিন্সের নিস্পৃহ কণ্ঠ আওয়াজ দেয়।"আরে আমাদের বাসা থিকা সোজা এই দিকে তাকাইলে...!""তোদের বাসা কোন দিক?""বাসা আবার কোন দিক থাকে? বাসার দরজা থিকা বাইর হইয়া ডাইন দিকের কোণায়""কছ কি!"" হ। ঐ বাসার ফওজিয়া কমিশনারের ভাতিজার লগে ভাগছে, সেইটা নাকি ...
-->বিস্তারিত পড়ুন...

গল্প : : বালিঘড়ি

সকাল থেকে আমলাতান্ত্রিক পেজগীতে বসে আছি। ছুটি মিলবে কখন কেউ জানে না। সিরিয়াল ৬১। চলছে ১৭। ১৮ কাগজপত্র গুছিয়ে বসে থাকতে থাকতে নাক ডাকতে শুরু করেছে। বাড়ি ফিলিপিনস। স্বচ্ছ ব্যাগ ফাইল ফুঁড়ে পাসপোর্টের প্রচ্ছদ উঁকি দিচ্ছে। ডান দিকে দেয়াল ঘেঁসে দুই চাঙ্কু কিচিরমিচির করছে। ওদের সিরিয়াল আমার আশে পাশে। নমুনা মোতাবেক আরো অন্তত দুতিন ঘন্টা ভোদাই বসে থাকতে হবে। বাড়ি চলে যাওয়া একটা সমাধান হতে পারে। কিন্তু ...
-->বিস্তারিত পড়ুন...