Sunday, June 03, 2007

মতাদর্শিক আধিপত্য এবং ইন্টেলেকচুয়াল মকারি


প্রিয় সাদিক গত কয়েকদিন যাবৎ কোন বিষয়ে খুব বিব্রত, বিরক্ত। ক্ষণিকের উত্তেজনায় অনরত ভুল শট খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরত যাচ্ছেন। প্রতিবারই মনে হচ্ছে ভুল কাউকে লাড়ছেন। কেস হয়ে গেলেও থামছেন না। কি যেন একটা বলতে চাচ্ছেন। বোঝা যাচ্ছে না। এদিকে বোলাররাও তাকে পেয়ে বসেছেন। বিষয়টা ভালো লাগছে না। ব্লগ কিন্তু লেখারই জায়গা। এইখানে লোকে লেইখা যার যার মত প্রকাশ করে। মাথা থিকা যে কথা বাইরায় তার লগে শরিলের আর শরিলের লগে নানানভাবে জড়িত অন্যান্য শরিলের অনেকদিনের অভিজ্ঞতা জড়িত। জীবনের সংঘর্ষগুলা সরাসরি আইবোই। সেইটা আইনের বা দোজখের ডর দেখাইয়া ঠেকানো গেলে ভালো হয় বইলা ঝুট-ঝামেলামুক্ত মাইনসের মনে হইলেও আসলে ঠেকানো যায় না। সাদিক উপরের দুইটা লাইন বাদ দিয়া টিপিক্যাল এনজিও লাইন ধরছে। রাবীন্দ্রীক প্রশান্তি+নিও লিবারেল উন্নয়ন। এই প্রক্রিয়ায় উপরিকাঠামোর লগে সুবিধাজনক মানে সবদিক রক্ষা হয় এইরম অবকাঠামোর দূরত্ব মাপতে যত বড় কাঁটা কম্পাস লাগে সেইটা আপাতত বানানো না যাওনে মরমী তড়িকা লইছে অর্থাৎ উপরিকাঠামোর লগে অবকাঠামোর সম্পর্ক থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে অর্থাৎ হাঁউ মাউ খাউ থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে। দলে লোক পাওয়াও যায় এই কায়দায় খুব সহজে। উত্তরাধুণিক পাঙ্করা আছে। তারাও মনে করে ইতিহাসের ইভেন্টগুলা পাশাপাশি শুইয়া থাকে । তাদের মধ্যে সম্পর্ক বের করার চেষ্টা একধরণের ফ্যাসিবাদ। এইখানে ইভেন্টগুলা হয় সমকামী নয় ভাইবোন অর্থাৎ ইতিহাসকে বস্তুবাদী দৃষ্টতে দেখলে নানান সমস্যা তাই সামন্তীয় নৈতিকতাই সই।এতে কি লাভ? লাভ হইলো উন্নয়নের পথের কাঁটা সইরা যায়। গরীব দেশের মানুষ হইলো ভুদাই। স্মৃতি তাগো কাছে ভক্তিবস্তু। কোন আমলে ফাইট করছিল উপনিবেশের বিরুদ্ধে হেই কথায় এখন কোন বালের চিড়া ভিজবো? বরং রবীন্দ্রনাথের আলু চাষ(আলোকিত) আর মোহনদাস করমচাঁদের প্রাচীন ভারতের স্বয়ংসম্পূর্ণ গেরামের ঘন্ট অনেক ভালো। কোনটাতেই পলিটিক্যাল স্বাধীনতার কোন দরকার নাই। আর "সবকিছু" এখন "অন্যভাবে" দেখা হয়। উন্নয়ন এখন "অন্যরকম"। "সবকিছু" "বদলাইয়া" গেছেগা। (তারপর ভুরুটুরু কুচকাইয়া বেশ কায়দা কইরা) আসলে বিশ্বায়নের যূগে জাতিরাষ্ট্রের ধারণা অচল। রাজনৈতিক স্বাধীনতাও তেমন জরুরি না। একসময় ঐরকম ধারণা ছিল। এখন আর নাই। শিল্পন্নয়নের পুরাণা প্যারাডাইম গেছেগা। সব জায়গায় ম্যাশিং বসানো সম্ভব না। এখন উন্নয়ন মানে গ্রোউথ রেট বাড়ানো। বোকার মত নাইজেরিয়ার উদাহরণ দেবেন না প্লিজ! খিয়াল করুন আশির দশকে তেল বিক্রির সময়কার ৭৭% প্রবৃদ্ধির হার। নব্বই দশকের শেষের পরিণতির জন্যে তাদের পলিটিক্স দায়ী। এজন্য তেলের খরিদ্দারকে দায়ী করা ঠিক্না। এটা একধরণের হীনমন্যতা। দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখুন! জলপাই ঠাপে তাদের দেশে এখন আস্ত বাঙ্গী আর দেখাই যায় না! সুতরাং ইল্যুশন ত্যাগ করুন! বর্তমান একটা আলাদা ঘটনা। উন্নয়ন চুইয়ে পড়ছে উপর থেকে নীচে। দেখতে পাচ্ছেন না? চশমাটা খেয়ে ফেলুন, নতুন চশমা নিন। উপনিবেশবিরোধী সংগ্রামের ইতিহাস ভুলে যান। ঐসব স্মৃতি বর্তমান ত্রাতাদের শত্রু ভাবতে শেখায়। (তারপর ২ লাইন রবিবুড়োর গান "পশ্চিম আজি খুলিয়াছে দ্বার")সবই বুঝলাম বরখুরদার! বুঝতে বুঝতে অবিরাম ভুদাই হচ্ছি প্রতিদিন। কিন্তু আমার গতর ভর্তি জটিল সব ছারপোকা। ৫০০০বার ডিলিট করলেও স্মৃতিগুলো মোছে না। গুতায়। খালি গুতায়। খালি মনে হয় যার নেমকখাই তার গুহ্যদ্বারে ছেড়ে দেই পোকাগুলো। আরো মজা কি জানো? এই দিলাম কইলেই ত্রাতাঠাকুর নাচে। ফকিন্নির পুত আমি তাতে যাহারপরনাই আল্হাদিত হই। শুধু ছারপোকাই না। কলা খাইয়া অবিরাম চোচাও ফালাই ত্রাতার নাটমঞ্চে। লগে ছারপোকার ফাপর। মাঠে প্রতিদিনই কেউ না কেউ ফাইট করে। মাঠ অনেকরকম। কথাও একটা ক্রিয়া। আর ত্রাতাঠাকুর তার সোল এজেন্ট না। খালি তিনিই কইবেন তাতো হইবো না। তারে মাঠ ছাইড়া দিতে আমি রাজি না। তিনি মকারি করতে মোসাহেব ভাড়া করবেন আর আমি জিল্হ্বা বিলম্বিত শুইনা দ্রুত দাদরায় তালিখালি মাপুম এতো মডার্ন হওয়া মনে হয় মুস্কিল। বাগযন্ত্রটা আমারো আছে। আমি কথা কমুই। ফাইট করতে গেলে মাথায় থাকতে হইবো যে অতীতেও ফাইট করছিলাম এখনো করতাছি। স্বাধীন হইতে যাগো লগে যুদ্ধ করছি তারা আর আজকের শত্রুরা আলাদা না। কারণ ফাইট আগে যারা করছে আইজকাও তারাই করে। শত্রুর আগের তালিকা বাতিল হয় নাই তাতে আরো লোক যোগ হইছে। জেনারেশন বদলাইছে। তাই পরের জেনারেশনের কাছে অতীতের লড়াই এর স্মৃতি পৌছাইয়া দিতেই হইবো। শত্রুমিত্র আরো ভালো কইরা চিনতেই দিতো হইবো। তাই কথা কওনের প্লাটফর্ম বেহেড টেকমোল্লাগো হাতে কোন অবস্থাতেই ছাইড়া দেওন যাইবো না। পদে পদে তাগো লুঙ্গী ধইরা টান দিতেই হইবো। সুফি মানুষের তাতে কলেজা ফাইট্টা গেলে কানে কর্ক দিয়া রাখাই ভালো।


১ মে ২০০৭, সামহোয়ারইনে প্রকাশিত

No comments: