Friday, May 01, 2009

মে দিবসে সেই কালো লোকটার কথা


পুরোপুরি কর্পোরেট হতে কিংবা কর্পোরেট আচরনে পৌঁছতে মিডিয়ার খানিক সময় লেগেছিল। সময় লাগানোটা হয়তো ইচ্ছাকৃত হয়তো নয়। তবে বাজারে চাহিদা এমবেড করার ব্যাপারটা ঘটনা। এসব কথা কেন বলছি? কর্পোরেটায়িত মিডিয়ার কল্যাণে বিস্মৃত হয়েছেন হয়ে চলেছেন খুব নিকট অতীতের কিংবদন্তীরা। কার কাছে বিস্মৃত হচ্ছেন? সকলের কাছে নিশ্চয়ই না। তার একটা কারণ বাজার সামলাতে প্রযুক্তি এমনভাবে বিকশিত হয়েছে, যা দিয়ে অতীতের অনেক মার্কেটবাজীর গোমর ফাঁক হয়ে যাচ্ছে, বাজার নিয়ন্ত্রকদের অতি অপ্রিয় কিংবদন্তীরা আড়মোড়া ভাঙছেন মিডিয়ার এখানে সেখানে।

আজ থেকে ১১১ বছর আগে, মে দিবসের বারো বছর পরে নিউজার্সীর প্রিন্সটনে পলাতক কৃতদাসের ঘরে জন্মেছিলেন এমন এক কিংবদন্তী পল রোবসন। বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন, স্পেনের গৃহযুদ্ধ, ফ্যাসীবাদ বিরোধী সংগ্রাম থেকে শুরু করে তাবৎ নির্যাতিত শ্রমজীবি মানুষের মুক্তি আন্দোলনে তাঁর অসাধারণ সুরেলা কণ্ঠ বিশ্ববাসী শুনতে পেয়েছে।





রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য জন্মভুমিতে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পল রোবসন। মুক্ত দুনিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর রেকর্ড বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছিল। তাঁর পাসপোর্ট পর্যন্ত আটক করা হয়েছিল। সারা পৃথিবীর প্রগতিশীল সংগ্রামী মানুষ প্রতিরোধ করেছিল। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের মতো সংগ্রামীরা তাঁকে নিয়ে গান গেয়েছেন।

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA



পল রোবসনের জীবনবৃত্তান্ত খানিক নেট ঘাঁটলেই বের হয়ে আসবে। আমার আগ্রহ তাঁর গানে। নব্য উদারতাবাদ একদিকে সস্তা শ্রমের বাজার বিস্তৃত করে চলেছে আর এক দিকে কৃত্রিম মধ্যশ্রেণীর মগজে গুঁজে দিচ্ছে শ্রমিক শ্রেণীর অনস্তিত্বের বাটপারি ধারণা। নিজে শ্রমিক বলেই শ্রমিকের অস্তিত্ব জানি, বুঝি। শ্রমিক শ্রেণীর মতো পল রোবসনের গানও তাই আমার কাছে জীবিত।

একটা ডকুমেন্টারি পাওয়া গেল ইউটিউবে :












পল রোবসনকে আমার মে দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি।



দুনিয়ার মজদুর এক হও !






ছবি উইকি থেকে।

No comments: