নব্বই এর শুরুতে তুমুল মুর্তি ভাঙাভাঙির পরে লেনিনের ঠাঁই পাকাপাকি হলো শুধু পাঠাগারে। বহু পাঠাগার থেকে তাঁকে কেজি দরেও বিদায় করা হলো। বেড়াল তাত্ত্বিকদের কল্যাণে মাও হারিয়েছেন আরো কিছু আগে। বিপ্লবের আইকন দুরে থাক আমরা যারা নব্বুই এর শুরুতে বড় হতে শুরু করেছি বিপ্লব জাতীয় শব্দ উচ্চারণ করাও তাদের জন্য একরকম হারাম ছিল বহুদিন পর্যন্ত।
শুধু একটা ছবিই ছিল যেটা আপাত: নির্বোধ প্রজন্ম অন্তত অস্পষ্ট ইতিহাস জ্ঞানের কারণেই হোক আর খোদাই করা মুখের দাপটেই হোক তখনো দেয়ালে টিশার্টে ধারণ করে রেখেছিল। চে গেভারার সেই খোদাই করা ছবিটা এখনো আছে। টিশার্টে, বীয়ারের মগে, চুরুটের ব্র্যান্ডে, কিছুদিন আগে শুনলাম কী একটা ক্যারিবিয়ান রামের বোতলেও নাকি কমান্দাত গেভারাকে দেখা গেছে।
লোকটার মুখে, মুখভঙ্গিতে শরিরের ভাষায় কোন এক আশ্চর্য শক্তি কাজ করে যাতে যে কোন ধরণের প্রতিক্রিয়াশীল তর্ক এক মুহুর্তে থেমে যেতে পারে। আমি লড়াই করেছি, লড়াই করছি, লড়তে থাকবো...এর বাইরে অন্য জীবনের আর অস্তিত্ব নেই। বিপ্লবের নানারকম বিজ্ঞাপন এড়িয়ে শুধু এই মন্ত্র আউড়ে নিলেও অন্তত আয়নায় নিজের চোখের দিকে চেয়ে বলা যায় শুধু ব্যাখ্যায় না কাজেও পৃথিবীটাকে বদলে দেওয়া যায়
ছবির জন্য কৃতজ্ঞতা www.marxists.org
No comments:
Post a Comment