বাংলা ব্লগাবর্তের বয়স বেড়ে চলেছে। শৈশব পেরিয়ে দেখা যাচ্ছে কিশোরের মুখে গোঁফের আভাস। বয়:সন্ধিক্ষণের অসীম সম্ভাবনায় ছটফট করছে সদ্য কিশোর। প্রফিট মেকানিজমের বিরূপ প্রতিবেশের সাথে মরণপণ লড়াই করে তাঁকে তিল তিল বেড়ে উঠতে হচ্ছে। লড়াই এর মাঠে সে নির্বান্ধব। কুশলী লেখকের কলম চালনার এযাবৎকালের তাবৎ প্রতিষ্ঠিত পাটাতনগুলি, ইচ্ছানিরপেক্ষ অবস্থান থেকে তাঁর শত্রু। সদ্যজাত শিশুর মুখ দেখে জন্মমুহুর্তে আলোড়িত হওয়া পারিপার্শ্ব থেকে, হাঁড়-মগজ-চোয়ালের জোর বাড়তে থাকা কিশোরের স্বতন্ত্র অবস্থান গড়ে নেবার বাস্তবতায়, সংঘাতপূর্ণ স্বার্থকাঠামোর পুরনো মিত্ররা একে একে ঝরে পড়ছে। এই ঝরে পড়া অবশ্যই নিরবচ্ছিন্ন নয়। বিপরীতে বেড়ে উঠছে পরিণত মিত্ররাও। কিশোরের সামনে এখন একই সাথে অসীম ইতিবাচক সম্ভাবনা আর তার বিপরীতে জটিলতর দ্বন্দ্ব।
বাংলা ব্লগাবর্তের বাস্তব নির্মাণ মোষতাড়িয়েদের হাতে। কিশোরের শক্ত হতে থাকা হাঁড়-মগজ-চোয়ালের বাস্তব শক্তি, এর নির্মাতাদের মোষ তাড়ানোর গোঁ। প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট মাধ্যমের স্বার্থকাঠামোর আপাত:অনুপস্থিতিতে, বাংলা ভাষা আরো একঝাঁক সম্ভাবনা উঠে আসবার ভ্রুণ দেখতে পায় এখানে। সেই সম্ভাবনাকে ঘিরে তৈরী হয় মোষমালিক আর মোষতাড়িয়ের দ্বন্দ্ব।
অন্তর্জালের প্রযুক্তিঋদ্ধ লাভজনক ভাষাগুলিতে ইতোমধ্যেই শক্তিশালী ব্লগাবর্ত গড়ে উঠেছে। কর্পোরেট জগতের অনুশাসন বা কায়েমী স্বার্থবাদী কাঁচির নাগালের বাইরে নতুনমাত্রার শক্তিশালী বিশ্লেষণ উঠে আসছে সেখানে। কর্পোরেট জগতের সাথে লড়াইয়ের প্রাথমিক পর্যায় তাঁরা অনেকেই অতিক্রম করে এসেছেন। বাংলা ব্লগাবর্ত, বলা চলে, কিশোরদশায় এই অস্তিত্বের সংগ্রামের সবচাইতে জটিল পর্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছে।
কোন অস্ত্রে এই প্রান্তিক লড়াইএর ময়দানে টিকে থাকা যায়? অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ বলে, এখানে টিকে থাকার প্রধাণতম, বলতে গেলে একমাত্র অস্ত্র নিয়মিত শক্তিশালী লেখার প্রবাহ। প্রতিটি ব্লগপাটাতন, তাঁর চরিত্রের স্বাতন্ত্র্য নির্মাণ করে, প্রকাশিত লেখার ভান্ডার দিয়ে। এই অস্ত্রে একেকটা ব্লগপাটাতনকে একই সঙ্গে ব্লগপাটাতনগুলির অর্ন্তদ্বন্দ্ব আর সম্পূর্ণ বিপরীতে কর্পোরেট বিশ্বের প্রত্যক্ষ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠাণের সাথে লড়াই করতে হয়। কেন্দ্রীভূত অবস্থিতি প্রতিষ্ঠাণের জন্ম দেয় বটে। যেকোন আপাত:নিয়মিত কাঠামোই একেকটা প্রতিষ্ঠাণ। প্রতিষ্ঠাণের খল চরিত্র তখনই বেরিয়ে আসে যখন তাঁর সরলরৈখিক কেন্দ্রীভবন স্বীয় কাঠমোর খাঁচায় তাঁকে বন্দি করে ফেলে। ভবিষ্যতে ব্লগাবর্তও এই পরিণতিতে আরো অগ্রসর কোন বিকল্প পাটাতনের জন্মদেবে, এই সম্ভাবনাকে মেনে নিয়েই বলা যায়, আজকের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠাণের সাথে, ষাটসত্তর দশকের ছোটকাগজের সমস্বত্ত্ব আজকের লড়াই, ইতিহাসের নিয়মে ব্লগাবর্তই লড়ে চলেছে।
ব্লগের ভালো লেখা কী? ভালো লেখার অবস্থান-নিরপেক্ষ সংজ্ঞার্থ খুঁজে দেখতে পারেন পরিত্যাক্তবস্ত্রখন্ডমোচড়কুশলী, আমি সে পথের পথিক নই। ব্লগের ভালো লেখার সুলুক সন্ধানে আমি গঠণে-বিকাশে-প্রকাশে, শেষ বিচারে শুধু টাটকা লেখার ঘ্রাণকেই খুঁজে পাই। যে লেখা শুধু লেখাতেই শেষ হয়ে যায় না। মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য-বচসা-বাহাসে যার মধ্য থেকে একটা নতুনমাত্রার টোট্যালিটির সন্ধান পাওয়া যায়।
"লিখে কি হবে?"র নাস্তি, যখন পুঁজিবাদী বিশ্বায়নে পকেট ভারী করা মেধালুপ্তিকরণযজ্ঞে ষাষ্টাঙ্গ গড় করা প্রচার মাধ্যমের দাপটে, দুকলম লিখতে চাওয়া দুর্ভাগা বাঙালীর শ্বাসনালী চেপে ধরেছে, সেই চরম মুহুর্তে, সজ্ঞানে হোক বা অজ্ঞানে প্রযুক্তির বেখেয়াল পরিমার্জনের দুর্ঘটনাক্রমেই হোক, বাংলাব্লগাবর্তের জন্ম। জন্মাবধি বিপুলবিক্রমে লড়তে লড়তে সে আজকের অস্থির কিশোর। যিনি এই সময়ে বাংলা ব্লগ পাটাতনে একটি চরণও লেখেন, তিনিই বাংলা ভাষার, বাঙালীর এই ঐতিহাসিক লড়াইয়ের অগ্রবর্তী সহযোদ্ধাদের একজন। আমিও সেই দলের একজন গর্বিত যোদ্ধা। আজকে আমরা যা লিখবো, যে শিক্ষা-মননের বীজ কিশোরের চৈতন্যে বপন করবো, তাই হবে ভবিষ্যত লড়াকু যুবকের পরিচয়, তাঁর দর্শন, তাঁর পাথেয়।
বাংলা ব্লগাবর্তের বাস্তব নির্মাণ মোষতাড়িয়েদের হাতে। কিশোরের শক্ত হতে থাকা হাঁড়-মগজ-চোয়ালের বাস্তব শক্তি, এর নির্মাতাদের মোষ তাড়ানোর গোঁ। প্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট মাধ্যমের স্বার্থকাঠামোর আপাত:অনুপস্থিতিতে, বাংলা ভাষা আরো একঝাঁক সম্ভাবনা উঠে আসবার ভ্রুণ দেখতে পায় এখানে। সেই সম্ভাবনাকে ঘিরে তৈরী হয় মোষমালিক আর মোষতাড়িয়ের দ্বন্দ্ব।
অন্তর্জালের প্রযুক্তিঋদ্ধ লাভজনক ভাষাগুলিতে ইতোমধ্যেই শক্তিশালী ব্লগাবর্ত গড়ে উঠেছে। কর্পোরেট জগতের অনুশাসন বা কায়েমী স্বার্থবাদী কাঁচির নাগালের বাইরে নতুনমাত্রার শক্তিশালী বিশ্লেষণ উঠে আসছে সেখানে। কর্পোরেট জগতের সাথে লড়াইয়ের প্রাথমিক পর্যায় তাঁরা অনেকেই অতিক্রম করে এসেছেন। বাংলা ব্লগাবর্ত, বলা চলে, কিশোরদশায় এই অস্তিত্বের সংগ্রামের সবচাইতে জটিল পর্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছে।
কোন অস্ত্রে এই প্রান্তিক লড়াইএর ময়দানে টিকে থাকা যায়? অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ বলে, এখানে টিকে থাকার প্রধাণতম, বলতে গেলে একমাত্র অস্ত্র নিয়মিত শক্তিশালী লেখার প্রবাহ। প্রতিটি ব্লগপাটাতন, তাঁর চরিত্রের স্বাতন্ত্র্য নির্মাণ করে, প্রকাশিত লেখার ভান্ডার দিয়ে। এই অস্ত্রে একেকটা ব্লগপাটাতনকে একই সঙ্গে ব্লগপাটাতনগুলির অর্ন্তদ্বন্দ্ব আর সম্পূর্ণ বিপরীতে কর্পোরেট বিশ্বের প্রত্যক্ষ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠাণের সাথে লড়াই করতে হয়। কেন্দ্রীভূত অবস্থিতি প্রতিষ্ঠাণের জন্ম দেয় বটে। যেকোন আপাত:নিয়মিত কাঠামোই একেকটা প্রতিষ্ঠাণ। প্রতিষ্ঠাণের খল চরিত্র তখনই বেরিয়ে আসে যখন তাঁর সরলরৈখিক কেন্দ্রীভবন স্বীয় কাঠমোর খাঁচায় তাঁকে বন্দি করে ফেলে। ভবিষ্যতে ব্লগাবর্তও এই পরিণতিতে আরো অগ্রসর কোন বিকল্প পাটাতনের জন্মদেবে, এই সম্ভাবনাকে মেনে নিয়েই বলা যায়, আজকের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠাণের সাথে, ষাটসত্তর দশকের ছোটকাগজের সমস্বত্ত্ব আজকের লড়াই, ইতিহাসের নিয়মে ব্লগাবর্তই লড়ে চলেছে।
ব্লগের ভালো লেখা কী? ভালো লেখার অবস্থান-নিরপেক্ষ সংজ্ঞার্থ খুঁজে দেখতে পারেন পরিত্যাক্তবস্ত্রখন্ডমোচড়কুশলী, আমি সে পথের পথিক নই। ব্লগের ভালো লেখার সুলুক সন্ধানে আমি গঠণে-বিকাশে-প্রকাশে, শেষ বিচারে শুধু টাটকা লেখার ঘ্রাণকেই খুঁজে পাই। যে লেখা শুধু লেখাতেই শেষ হয়ে যায় না। মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য-বচসা-বাহাসে যার মধ্য থেকে একটা নতুনমাত্রার টোট্যালিটির সন্ধান পাওয়া যায়।
"লিখে কি হবে?"র নাস্তি, যখন পুঁজিবাদী বিশ্বায়নে পকেট ভারী করা মেধালুপ্তিকরণযজ্ঞে ষাষ্টাঙ্গ গড় করা প্রচার মাধ্যমের দাপটে, দুকলম লিখতে চাওয়া দুর্ভাগা বাঙালীর শ্বাসনালী চেপে ধরেছে, সেই চরম মুহুর্তে, সজ্ঞানে হোক বা অজ্ঞানে প্রযুক্তির বেখেয়াল পরিমার্জনের দুর্ঘটনাক্রমেই হোক, বাংলাব্লগাবর্তের জন্ম। জন্মাবধি বিপুলবিক্রমে লড়তে লড়তে সে আজকের অস্থির কিশোর। যিনি এই সময়ে বাংলা ব্লগ পাটাতনে একটি চরণও লেখেন, তিনিই বাংলা ভাষার, বাঙালীর এই ঐতিহাসিক লড়াইয়ের অগ্রবর্তী সহযোদ্ধাদের একজন। আমিও সেই দলের একজন গর্বিত যোদ্ধা। আজকে আমরা যা লিখবো, যে শিক্ষা-মননের বীজ কিশোরের চৈতন্যে বপন করবো, তাই হবে ভবিষ্যত লড়াকু যুবকের পরিচয়, তাঁর দর্শন, তাঁর পাথেয়।
No comments:
Post a Comment